ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিন যে কয় কদম হাঁটবেন

বণিক বার্তা অনলাইন

ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি কমাতে চান? হাঁটুন এবং গণনা করুন। প্রতিদিন ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৯ হাজার ৮০০ কদম হাঁটার অভ্যাস মস্তিষ্ককে স্মৃতিশক্তি নষ্ট হবার ঝুঁকি থেকে মুক্ত রাখবে। সম্প্রতি জার্নাল অব দ্য আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েনের (জেএএমএ) নিউরোলজি বিভাগ এমনই এক গবেষণা প্রকাশ করেছে।

গবেষণাটি করেছেন ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ডেনমার্কের (এসডিইউ) সহযোগী অধ্যাপক ও স্পেনের ক্যাডিজ ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্য বিজ্ঞানের সিনিয়র গবেষক বরজা দেল পুজো ক্রুজ।

গবেষণায় তিনি বলেন, ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিন ৩ হাজার ৮০০ থেকে ৯ হাজার ৮০০ কদমের মধ্যে হাঁটা প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা যায়, ৪০ থেকে ৭৯ বছর বয়সী ব্যক্তিরা দৈনিক ৯ হাজার ৮২৬ কদম হাঁটলে ৭ বছরের মধ্যে ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি ৫০ ভাগ কমে যায়। কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে মিনিটে ৪০ কদম গতিতে এবং দিনে ৬ হাজার ৩১৫ কদম হাঁটার ফলে এ ঝুঁকি কমে আসে ৫৭ শতাংশে। এছাড়া দিনে মাত্র ৩ হাজার ৮০০ কদম হাঁটলেই ডিমেনশিয়া হওয়ার ঝুঁকি কমে যায় ২৫ ভাগ।

এর চাইতেও চমৎকার তথ্য রয়েছে এ গবেষণায়, বলা হচ্ছে কেউ যদি মিনিটে ১১২ কদম করে দৈনিক ৩০ মিনিট হাঁটেন তাদের ডিমেনশিয়ার হওয়ার ঝুঁকি ৬২ শতাংশ কমে যায়।

বরজা দেল পুজো ক্রুজ বলেছেন, চিকিৎসকরা এখন থেকে গবেষণার তথ্যটি রোগীদের জন্য পরামর্শ হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সতর্ক এবং উদ্বুদ্ধ করতে পারবেন।  

ই-মেইলে পাঠানো এক বিবৃতিতে গবেষক পুজো ক্রুজ বলেন, এটা দুর্দান্ত আবিষ্কার। হাঁটা সকল দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। কদম সংখ্যা এবং গতি নির্ণয়ের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করা যেতে পারে। তখন তা বাণিজ্যিক ভাবেও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠবে। ফলে এই বিষয়টা নিয়ে আরো গবেষণার প্রয়োজন।

যদি কোনো যন্ত্র না থাকে, তবে নিজে নিজেও হিসাব রাখা যায়। ১০ সেকেন্ডে ফেলা কদমের সংখ্যাকে ছয় দিয়ে গুণ করুন। অথবা ছয় সেকেন্ডে ফেলা কদমের সংখ্যাকে গুণ করুন ১০ দিয়ে। উভয় ভাবেই বের করা যেতে পারে। প্রত্যেকের পদক্ষেপের দৈর্ঘ্য সমান নয়। নির্দিষ্ট সময়ে অতিক্রান্ত দূরত্বও সমান নয়। সমান নয় প্রত্যেকের ফিটনেস। তাই এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে। এ গবেষক আরো জানান, ডিমেনশিয়া রোগ অনেকাংশেই দূর করা সম্ভব। শারীরিক ব্যায়াম, সুস্থ জীবনাচার, অ্যালকোহল কিংবা ধূমপান থেকে বিরত থাকা, যথাযথ খাবার গ্রহণ এবং সঠিক ঘুম এই ক্ষেত্রে অনেকটাই সহায়ক।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন