লেনদেন ২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে হাজার ১০০ কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছিল পুঁজিবাজারে। এর তিন কার্যদিবস পর গতকাল আবারো হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের পাশাপাশি গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকও বেড়েছে। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) গতকাল সূচক দৈনিক লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর মিনিট পরই পুঁজিবাজারে কিছুটা অস্থিরতা দেখা যায়। অবশ্য ১৩ মিনিট পরই সূচক ঘুরে দাঁড়ায়। বেলা ১১টা মিনিটে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স হাজার ৪৮৫ পয়েন্টে পৌঁছে। শেয়ার বিক্রির চাপের এর আবারো নিম্নমুখিতা দেখা যায়। তবে বেলা ১টা মিনিটে সূচক বেড়ে দিনের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছায়। শেষ আধা ঘণ্টার শেয়ার বিক্রির চাপে দিনের শুরুর উত্থান ধরে রাখতে পারেনি সূচক। শেষ পর্যন্ত গতকাল দিন শেষে এর আগের দিনের তুলনায় ২৪ পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৪৫৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স। এর আগের কার্যদিবস শেষে যা ছিল হাজার ৪৩৩ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল পয়েন্ট বেড়ে হাজার ২৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ২৭৯ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৩৯৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ৩৯৬ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস, কনফিডেন্স সিমেন্ট, জিপিএইচ ইস্পাত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের শেয়ারের।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ডলারের বিনিময়মূল্যে স্থিতিশীলতা, জ্বালানি তেলের মূল্যহ্রাস বিদ্যুৎ সরবরাহে স্থিতিশীলতার কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরে আসতে শুরু করেছে। এতে করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ফলে সূচকের পাশাপাশি পুঁজিবাজারে টাকার অংকে বড় লেনদেন দেখা যাচ্ছে। অবশ্য বাজারের ঊর্ধ্বমুখিতার সুযোগে একশ্রেণীর বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করে মুনাফাও তুলে নিচ্ছেন। কারণে গতকাল লেনদেনের শুরুর দিকে সূচকের যে উত্থান ছিল সেটি শেষ পর্যন্ত বজায় থাকেনি।

ডিএসইতে গতকাল হাজার কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। যেখানে এর আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৮০টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১৭৯টির, কমেছে ১৩৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৬৬টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৮ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বস্ত্র খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়েছে ওষুধ রসায়ন খাত। ১১ দশমিক শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। মোট লেনদেনের দশমিক শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল বিবিধ খাত। আর সিমেন্ট খাতের দখলে ছিল লেনদেনের দশমিক শতাংশ। গতকাল পুঁজিবাজারে সিমেন্ট খাতে সবচেয়ে বেশি দশমিক শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক রিটার্ন ছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে দশমিক শতাংশ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন