শিল্পকলায় আজ ‘খোয়াবনামা’র মঞ্চায়ন

ফিচার প্রতিবেদক

প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক গল্পকার আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের বিখ্যাত উপন্যাস খোয়াবনামা সাতচল্লিশের দেশভাগের পটভূমিতে তত্কালীন জনমানুষের বিস্তৃত জীবন আখ্যান উপন্যাস। গল্পের মধ্য দিয়ে সময়ের জীবন বাস্তবতাকে ঔপন্যাসিক তুলে ধরেছেন নিপুণ হাতে। আজ সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চস্থ হবে নাটক খোয়াবনামা প্রাচ্যনাটের ৩৭তম প্রযোজনার নাট্যরূপ দিয়েছেন মো. শওকত হোসেন সজীব। নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন।

কাত্লাহার বিলের ধারে ঘন জঙ্গল সাফ করে বাঘের ঘাড়ে জোয়াল চাপিয়ে আবাদ শুরু করার দিনের এক বিকালবেলায় মজনু শাহর অগুনতি ফকিরের সঙ্গে মহাস্থানগড়ের দিকে যাওয়ার সময় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেপাই সর্দার টেলারের গুলিতে মারা পড়ে মুনশি বয়তুল্লাহ শাহ। কাত্লাহার বিলের দুই ধারের গিড়িডাঙা নিজগিড়িডাঙার মানুষ সবাই জানে, বিলের উত্তরে পাকুড়গাছে আসন নিয়ে রাতভর বিল শাসন করে মুনশি। সময়ের আবর্তনে বিলের মালিকানা চলে যায় জমিদারের হাতে। মুনশির শ্লোকে শ্লোকে মানুষের স্বপ্নের ব্যাখ্যা করে বেড়ায় চেরাগ আলী ফকির। তমিজের বাপ শ্লোক শুনে আর ঘুমের মধ্যে বিলে গিয়ে কাদায় পা ডুবিয়ে দেখতে চায় পাকুড়গাছের মুনশিকে। ভবানী পাঠকের সঙ্গে পূর্বপুরুষের জের টেনে বৈকুণ্ঠনাথ গিরি প্রতীক্ষা করে ভবানীর শুভ আবির্ভাবের। তমিজ দেখে জমির স্বপ্ন। আর চেরাগ আলীর নাতনি কুলসুম খোয়াবে কার কায়া যে দেখতে চায়, তার দিশা পায় না। তেভাগার কবি কেরামত শেষ পর্যন্ত আটকে পড়ে শুধুই নিজের কোটরে। সে নাম চায়, বউ চায়, ঘর চায়। কোম্পানির ওয়ারিশ ব্রিটিশের ডাণ্ডা উঠে আসে দেশী সাহেবদের হাতে। এভাবে এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।

নাটকটিতে অভিনয় করেছেন সাহানা রহমান সুমি, সাখাওয়াত হোসেন রিজভী, মনিরুল ইসলাম রুবেল, চেতনা রহমান ভাষা, শশাংক সাহা, মো. সোহেল রানা, মিতুল রহমান, মো. সোহেল রানা, তানজি কুন, সাইদুর রহমান শাহীন, রকি খান প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন