আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতে শিল্পী আনিসুজ্জামান ফারুকীর ‘জেন্টল গ্রাস’
শিরোনামে ভাস্কর্য ও ড্রইং প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন আজ বিকাল সাড়ে ৫টায়। বিশেষ অতিথি থেকে প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন করবেন বরেণ্য ভাস্কর অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক লালারুখ সেলিম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মানস চৌধুরী। প্রদর্শনীতে ২৪টি ভাস্কর্য ও নয়টি চারকোল ড্রইংসহ মোট ৩৫টি শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হবে।
শিল্পী আনিসুজ্জামান ফারুকী ১৯৯৩ সালে মহেশখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগ থেকে ২০১৫ সালে স্নাতক ও ২০১৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। শিল্পী আনিসুজ্জামান ভাস্কর হিসেবে মূর্ত ও বিমূর্ত উভয় ধারাতেই কাজ করছেন। ক্লে মডেলিংয়ের দক্ষতা তার ভাস্কর্যের উপস্থাপনকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। তার রেখানির্ভর ভাস্কর্য জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি পেয়েছে। আনিসুজ্জামান ফারুকীর ড্রইং, মডেলিং, পেইন্টিং আর বিভিন্ন মাধ্যমের ভাস্কর্যগুলো বাংলাদেশর নিজস্ব শিল্পচর্চার পথকে সমৃদ্ধ করছে। শিল্পী তার নিত্য ঘটনাকে শিল্পকর্মের উৎস হিসেবে দেখেন এবং তাকে সম্পূর্ণ বিমূর্তভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। এ প্রদর্শনীর শিল্পকর্মগুলো তার গত কয়েক বছরের নানা অভিজ্ঞতার অংশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য বিভাগের চারুকলা অনুষদের অধ্যাপক লালারুখ সেলিম বলেন, ‘ফারুকীর প্রদর্শনীর কাজগুলো জল ও বাতাসের ছন্দে দোদুল্যমান। ছন্দায়িত বক্র রেখার সাথে ধাতব পাতের আকার ও গড়নের সংবেদনশীল সমন্বয় যেন সমুদ্রের ঢেউ আর বাতাসের স্পর্শ বয়ে নিয়ে আসে। রেখা ও আকারের মেলবন্ধনে নির্মিত হয় নিখুঁত ভারসাম্য। প্রকৃতির শক্তি ও জৈব গড়নের মধ্যে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ফারুকীর কাজে ছন্দায়িত রূপে উপস্থাপিত হয়েছে। উপকরণ ব্যবহারে সূক্ষ্মতা ও সংবেদনশীলতা ফারুকীর ভাস্কর্যের বৈশিষ্ট্য। ধাতব মাধ্যমেই এ ভাস্কর্যগুলো নির্মিত হয়েছে। তার সাথে কাঠ কয়লায় করা কিছু চিত্রকর্ম, যেগুলো তার ভাস্কর্যের সংবেদনশীলতার অনুভূতিকেই প্রতিফলিত করে।’
প্রদর্শনীটি চলবে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত। সোম থেকে শনিবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি খোলা থাকবে। রোববার সাপ্তাহিক বন্ধ। প্রদর্শনীটি সবার জন্য উন্মুক্ত।