রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কিনবে মিয়ানমার

বণিক বার্তা ডেস্ক

রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানির পরিকল্পনা করছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার। জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় এবং মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানতে পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সরকারের এক মুখপাত্র। বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের মধ্যে এমন পরিকল্পনা নেয়া সর্বশেষ উন্নয়নশীল দেশ মিয়ানমার।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার জ্বালানির বৃহত্তম রফতানি বাজার ইউরোপের দেশগুলো। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের কারণে চলতি বছরের শেষের দিকে দেশগুলো পর্যায়ক্রমে রুশ জ্বালানি তেল নেয়া বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। কারণে মস্কো জ্বালানি বিক্রির জন্য এশিয়ায় নতুন গ্রাহক খুঁজছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমার রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। উভয় দেশই পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে। গত বছর সেনাবাহিনী মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকার উত্খাত করার পরিপ্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞায় পড়ে দেশটি। অন্যদিকে ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়াও পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞায় রয়েছে।

গত বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সামরিক সরকারের মুখপাত্র জাও মিন তুন বলেন, আমরা রাশিয়া থেকে পেট্রল আমদানির অনুমতি পেয়েছি। এটির গুণগত দিক মূল্য উভয়ই আমাদের অনুকূলে রয়েছে। জ্বালানি তেলের চালান আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, গত মাসে রাশিয়া সফরের সময়ে জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং জ্বালানি তেল গ্যাস কেনার বিষয়ে দেশটির সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেন। বর্তমানে মিয়ানমার সিঙ্গাপুর থেকে জ্বালানি আমদানি করে।

সম্প্রতি দেশটির রাষ্ট্রীয় এক গণমাধ্যমে বলা হয়, রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনার জন্য জান্তা সরকারপ্রধানের ঘনিষ্ঠ মিত্রের নেতৃত্বে একটি তেল ক্রয় কমিটি গঠিত হয়েছে, যেটি মিয়ানমারের চাহিদার ভিত্তিতে ন্যায্যমূল্যে জ্বালানি ক্রয়, আমদানি পরিবহন তদারক করবে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচিত সরকার উত্খাতের পর মিয়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়। পাশাপাশি মিয়ানমারে জ্বালানির উচ্চমূল্য বিদ্যুতের ঘাটতিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির অর্থনীতি। উত্খাতের পর থেকে পেট্রলের দাম প্রায় ৩৫০ শতাংশ বেড়ে লিটারপ্রতি হাজার ৩০০ থেকে হাজার ৭০০ কিয়াটে দাঁড়িয়েছে। জ্বালানি ঘাটতির কারণে গত সপ্তাহে দেশটির বিভিন্ন জায়গার পেট্রল স্টেশন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। জ্বালানি রফতানির পাশাপাশি মিয়ানমারে অস্ত্র সরবরাহকারী প্রধান দেশও রাশিয়া।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন