চলতি বছরের প্রথমার্ধে রেকর্ড ৭২ কোটি ১০ লাখ ডলার মুনাফা পেয়েছে ডিপি ওয়ার্ল্ড। উচ্চ শিপিং রেটের কারণে উপকৃত হয়েছে দুবাইভিত্তিক পোর্ট জায়ান্টটি। তবে বছরের বাকি সময়ে মুনাফা, আয় ও কনটেইনার বৃদ্ধির হার মাঝারি হবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর রয়টার্স।
জানুয়ারি-জুন সময়ে বিশ্বের বৃহত্তম বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে গত বছরের একই সময়ে সংস্থাটির মুনাফার পরিমাণ ছিল ৪৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
করোনা মহামারী ও তুমুল ভোক্তা চাহিদা সম্পর্কিত বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা শুরুর পর থেকেই সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহন ব্যয় রেকর্ড উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। ফলে শিপিং কোম্পানি থেকে শুরু করে পোর্ট অপারেটর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলো রেকর্ড মুনাফার দেখা পেয়েছে।
ডিপি ওয়ার্ল্ড উল্লিখিত সময়ে ৩ কোটি ৯৪ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডলিং করেছে। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। তবে এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির আয় ৬০ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৭৯০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। নিকট মেয়াদে অনিশ্চিত দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে বছরের দ্বিতীয়ার্ধে মুনাফা বাড়ার হার মাঝারি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী সুলতান আহমেদ বিন আহমেদ এটিকে আরো চ্যালেঞ্জিং সামষ্টিক ও ভূরাজনৈতিক পরিবেশ উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, একটি শক্তিশালী আর্থিক বছরের পর ডিপি ওয়ার্ল্ড এখন পর্যন্ত উচ্চ বার্ষিক ফলাফল আশা করছে। আমরা এ শিল্পে মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা এবং টেকসই মুনাফা অর্জন নিয়ে ইতিবাচক রয়েছি।
চলতি মাসে ডেনিশ শিপিং ফার্ম মায়েরস্ক দ্বিতীয়বারের মতো মুনাফার পূর্বাভাস বাড়িয়েছে। সংস্থাটির আশঙ্কা, সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতা আরো দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, উচ্চমূল্যস্ফীতি ও ক্রমবর্ধমান সুদের হার বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি করতে পারে। এরই মধ্যে উন্নত অর্থনীতিগুলোয় ভোক্তা চাহিদা নিম্নমুখী রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ডিপি ওয়ার্ল্ড স্বল্পমেয়াদে সামুদ্রিক পণ্য পরিবহন খাত নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে।
