সিপিডির নাগরিক সম্মেলনে বক্তারা

ইশতেহারকে নির্বাচনের পর গুরুত্ব দেয়া হয় না

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল নাগরিক সম্মেলনের আয়োজন করে সিপিডি ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী

বাংলাদেশের রাজনীতিতে দেখা যায়, ইশতেহারকে নির্বাচনের পরে আর গুরুত্ব দেয়া হয় না। ভোটে জিতে পরবর্তী পাঁচ বছরে সেটা আর ফলোআপ হয় না বা কতটুকু বাস্তবায়ন হলো তা মূল্যায়ন করা হয় না। জনগণকে বিষয়ে সচেতন থাকা দরকার। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত নাগরিক সম্মেলনে কথা বলেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক . ফাহমিদা খাতুন।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে শিক্ষা, শোভন কর্মসংস্থান জেন্ডার সমতাবিষয়ক প্রতিশ্রুতিগুলো পর্যালেচনা করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিভাগীয় শহরে বিশেষজ্ঞ আলোচনা মুক্ত আলোচনার মাধ্যম ইশতেহার বিষয়ে জনগণের মতামত নেয়া হয়।

উদ্বোধনী অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ . তোফায়েল আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক . খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এরপর জেন্ডার সমতাবিষয়ক অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন সিপিডি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য খুশী কবির, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মহিলা শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক . মো. আব্দুল আজিজ, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পকিত স্থায়ী কমিটির সদস্য আরমা দত্ত, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক . মালেকা বানু। সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির রিসার্চ ফেলো সৈয়দ ইউসুফ সাদাত। নাগরিক সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, ঢাকায় রাজনৈতিক ইশতেহারকে যেভাবে দেখা হয় তৃণমূলে সেভাবে দেখা হয় না। ঢাকায় সুশাসন, মানবাধিকার, বৈষম্য ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু তৃণমূল পর্যায়ে আমার ভোটারদের মধ্য থেকে একদম নিম্ন আয়ের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, তাদের চাহিদা ভিন্ন। তারা প্রথমেই আমার কাছে একটা কার্ড চায়। যাতে তারা ভাতা সুবিধা পায় বা কম দামে সরকারি জিনিসপত্র নিতে পারে। দ্বিতীয় পর্যায়ে আসে একটা পানির কল আর তৃতীয় পর্যায়ে আসে একটি পায়খানা, তারা একটা ভালো স্যানিটেশন চায়। একদম শেষে তারা চায় একটা কাজের সুযোগ। কাজ করে খেতে চাওয়ার সুযোগ চায়। আর কাজ করার জন্য একটা সুন্দর পরিবেশ চায়, স্থিতিশীলতা চায়।

শোভন কর্মসংস্থান তৈরির ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বিভাগীয় প্রধান শামীমা সুলতানা শিলু বলেন, এখন পর্যন্ত কর্মসংস্থান আছে, তবে তা শোভন কর্মসংস্থান নয়। দুর্নীতি ঘুস বন্ধ করতে হবে। তবেই শোভন কর্মসংস্থান বলা যাবে। নারীরা কম কাজ করেন না। নারীরা বেশি কাজ করেন এবং কম টাকায় কাজ করেন বলেই তাকে কাজে নেয়া হয়। নারী শ্রমিকদের ক্ষেত্রে সরদারকে টাকা দিতে হয়। নইলে তাকে কাজ দেয়া হয় না। নারী-পুরুষের মজুরি সমান করতে হবে। সবক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে সমতা নিশ্চিত করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন