৪০ দিনে প্রায় ৪০ কোটি ভূমি উন্নয়ন কর আদায়: ভূমি মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভূমি অফিসে না গিয়েই অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান সুবিধার কারণে নাগরিক হয়রানি অনেক হ্রাস পেয়েছে। ফলে দেশের নাগরিকদের মাঝে নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের হার উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৪০ দিনেই সারা দেশে প্রায় ৪০ কোটি টাকার বেশি ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হয়েছে। অর্থবছরের প্রথম থেকেই ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধির নিয়ামক।

গতকাল এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কথা জানিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। এতে জানানো হয়, দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় ঢাকা জেলায় অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর দেয়ার হার সবচেয়ে বেশি। উপাত্ত পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঢাকা জেলায় যেখানে ২০২০-২১ অর্থবছরে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর হিসেবে পরিশোধকৃত অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় লাখ টাকা, সেখানে ২০২১-২২ নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি টাকারও বেশি। অর্থাৎ ২০২১-২২ অর্থবছরে ৮৭ শতাংশ ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা মহানগরীর ভূমি অফিসগুলো ক্যাশলেস ঘোষণা করা হয়েছে। এসব অফিসে ভূমি উন্নয়ন কর ছাড়াও অন্য কোনো ধরনের ফি ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যতীত ক্যাশ টাকায় নেয়া হয় না। আশা করা যাচ্ছে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ঢাকাসহ দেশের শতভাগ ভূমি মালিক অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থার আওতায় চলে আসবেন। পর্যায়ক্রমে দেশের সব ভূমি অফিস ক্যাশলেস হবে। সাধারণ সংস্থা পর্যায় মিলে প্রতি অর্থবছরে সাধারণত ৮০০ কোটি টাকারও বেশি ভূমি উন্নয়ন কর রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হয়। এসব অর্থ শতভাগ অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থার মাধ্যমে আদায় করতে পারলে কর আদায় অধিকতর দক্ষ হবে এবং কর আদায়ের পরিমাণ আরো বৃদ্ধি পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। ভূমি উন্নয়ন কর ছাড়াও ইজারাকৃত সায়রাত মহাল (বালুমহাল জলমহাল ইত্যাদি), তফসিলভুক্ত এবং অন্যান্য লিজকৃত বিভিন্ন সরকারি সম্পত্তির লিজমানি বাবদ প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয় জাতীয় অর্থনীতিতে সরাসরি অবদান রাখছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন