পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত জনগণের সম্পদ। সেটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সরকারের। সেখানে জনগণের প্রবেশাধিকার রুদ্ধ করা যাবে না। যার যার ব্যবসা সে করুক, আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু জনগণের প্রবেশ বন্ধ করা যাবে না।
গতকাল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সুলতান আহমদ মিলনায়তনে সিডিএ কর্তৃক পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ইজারা প্রদানে নাগরিক স্বার্থ ক্ষুণ্নকারী পরিকল্পনার প্রতিবাদে পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সভাপতি ও ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেকান্দার খান সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সর্বসাধারণের যে অধিকার রয়েছে সেটি হরণ করা হচ্ছে। সার্কিট হাউজের মাঠ, ফয়’স লেক চলে গিয়েছে। চাইলেও আমরা এমন নৈসর্গিক পরিবেশে বসে সময় কাটাতে পারব না। বাণিজ্যিকীকরণের কারণে সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার রুদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে লিখিত বক্তব্যে নগর পরিকল্পনাবিদ প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া বলেন, পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত সংলগ্ন সাত কিলোমিটার পরিসরের ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলাকাকে পর্যটন জোন-১ এবং পর্যটন জোন-২ হিসেবে ভাগ করে টেন্ডারের মাধ্যমে ২৫ বছরের জন্য বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ইজারা দিতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ব্যক্তিগত খাতে ইজারা দিয়ে বিস্তৃত সৈকত বা নদীতীরে প্রবেশমূল্যের বিনিময়ে কোথাও প্রবেশের অধিকার হরণ করা হয়েছে—এমন তথ্য আমাদের জানা নেই। সিডিএর নগরের উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা এবং বিস্তৃত অঞ্চল পরিকল্পনায় (ড্যাপ) পতেঙ্গা সৈকতকে পাবলিক ওপেন স্পেস বা ‘সর্বজনের উন্মুক্ত পরিসর’ হিসেবে সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে।
শাহরিয়ার খানের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সহসভাপতি আহমেদ জিন্নুর চৌধুরী, প্রকৌশলী এবিএমএ বাসেতসহ অন্যরা।