বিএসপিএসের ওয়েবিনারে বক্তারা

ডলারের দাম পরিবর্তন না করার ফলাফল ভয়াবহ হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডলারের দাম পরিবর্তন না করে, বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে না দিয়ে জিডিপি বেশি দেখালে তা টেকসই হয় না। কোনো দেশে এটা টেকসই নীতির মধ্যেও পড়ে না। কারণ এখন দেখা যাচ্ছে, সরকার ডলারের বিনিময় হার পরিবর্তন না করলেও বাজারের চাপে তা পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। এর ফল হয়েছে ভয়াবহ। গতকাল ব্যাংকিং সেক্টর পলিসি সাপোর্ট (বিএসপিএস) আয়োজিত কনটেম্পোরারি গ্লোবাল অ্যান্ড ন্যাশনাল ইকোনমি: হাউ বাংলাদেশ শুড প্রসিড শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা।

ব্যাংকার আসিফ এম সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে উপস্থিত ছিলেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক . আহসান এইচ মনসুর, বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট . জাহিদ হুসাইন আইপিডিসি ফাইন্যান্সের চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদ সাত্তার। ওয়েবিনারের শুরুতেই ইস্টার্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা এম জি কে জুয়েল কনটেম্পোরারি গ্লোবাল অ্যান্ড ন্যাশনাল ম্যাক্রো ব্যাকড্রপ শীর্ষক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। ওয়েবিনারটির গণমাধ্যম সহযোগী হিসেবে ছিল বণিক বার্তা।

. আহসান এইচ মনসুর বলেন, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও নেতিবাচকভাবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে প্রভাবিত হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামের ক্ষেত্রেই প্রভাব বেশি পড়েছে। এছাড়া আমাদের ব্যবসার ক্ষেত্রেও নেতিবাচক ভারসাম্য দেখা যাচ্ছে। আমাদের আমদানি ব্যয় অনেক বেশি বেড়ে গেছে। যদিও আমাদের রফতানির পরিমাণও বেড়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা আমাদের পেট্রোলিয়াম, সার বিদ্যুতের দাম পরিবর্তন করেছি অনেক পরে। আমরা বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে সমন্বয় করিনি, বরং ভর্তুকি দিয়েছি। কার্ব মার্কেট এবং ইন্টার মার্কেটে ডলার রেটের পার্থক্য থাকে। কিন্তু সে পার্থক্য এখন বিশাল। যার জন্য তৃতীয় আরেকটি মার্কেট বেশি বিষাক্ত হয়ে যাচ্ছে এবং কবে পরিস্থিতি ঠিক হবে, তা আমরা জানি না।

বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনমিস্ট . জাহিদ হুসাইন বলেন, অ্যাডভান্স ইকোনমিগুলো (যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি) এরই মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পথে অথবা ছয় মাসের মধ্যে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে। এর পরও অনেক অনিশ্চয়তা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ভারত বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছে। কারণ পশ্চিমা দেশগুলো চীন রাশিয়ার পরিবর্তে অত্যাধুনিক, বিশ্বস্ত, নমনীয় রাজনৈতিকভাবে বন্ধুভাবাপন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে চাচ্ছে। তবে আমাদের জন্য এটা ঝুঁকিপূর্ণও। আমাদের সঙ্গে এখন যুক্তরাষ্ট্র চীন দুদেশই রয়েছে। এজন্য আমাদের উপযোগী নীতি নির্ধারণ করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন