তবে কি লিওনেল মেসি যুগের অবসান ঘটল? ২০০৫ সালের পর প্রথমবার ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নেই মেসি। ফ্রান্স ফুটবল সাময়িকীর দেয়া এ পুরস্কারে এতদিন তিনি ছিলেন নিয়মিত মুখ। কিন্তু শুক্রবার প্রকাশিত ৩০ জনের তালিকায় আর্জেন্টাইন মহাতারকা স্থান পাননি। জায়গা হয়নি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার জুনিয়রেরও। মেসি-নেইমার না থাকলেও আছেন আরেক ফুটবল মহাতারকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
এদিকে উয়েফা বর্ষসেরার তিনজনের তালিকায়ও ঠাঁই হয়নি মেসির। নেই রোনালদো ও নেইমারও। উয়েফা বর্ষসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় করিম বেনজেমা, কেভিন ডি ব্রুইন ও থিবো কোর্তোয়া রয়েছেন।
ডি’অর পুরস্কারে ফেভারিট রিয়াল ফরোয়ার্ড বেনজেমা। উয়েফা পুরস্কারেও এগিয়ে তিনি। গত মৌসুমটা অসাধারণ কেটেছে ফরাসি তারকার। রিয়ালকে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে সাহায্য করেন তিনি। শেষ ষোলো ও কোয়ার্টার ফাইনালে হ্যাটট্রিকসহ সেমিফাইনাল ও ফাইনালে তিনি রিয়ালের জয়ে অসামান্য অবদান রাখেন। এবার ব্যালন ডি’অর ও উয়েফা বর্ষসেরা পুরস্কার দুটিই তিনি জিতে নিলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
রিয়াল মাদ্রিদের লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বেনজেমার। ১৫ গোল নিয়ে তিনি ছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা। ২৭ গোল করে লা লিগায়ও মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি। গত অক্টোবরে ফ্রান্সের উয়েফা নেশনস লিগ জয়ে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে একটি করে গোল করেন তিনি।
ব্যালন ডি’অরে বেনজেমার প্রতিদ্বন্দ্বী সতীর্থ থিবো কোর্তোয়া ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, ম্যাসিটির কেভিন ডি ব্রুইন ও ব্রাউট হালান্ড, বার্সার রবার্ট লেভানডোভস্কি, পিএসজির কিলিয়ান এমবাপ্পে, লিভারপুলের মোহাম্মদ সালাহ ও ভার্জিল ভ্যান ডাইক, টটেনহামের সন হিউং মিন ও হ্যারি কেন এবং বায়ার্নের সাদিও মানে।
২০২১ সালের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি গত মৌসুমে বার্সেলোনা থেকে পাড়ি জমান পিএসজিতে। তবে সেখানে প্রথম মৌসুমটা একদমই ভালো কাটেনি তার। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৪ ম্যাচে ১৪ অ্যাসিস্ট ও ১১ গোল করতে সমর্থ হন তিনি। তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মেসি ছিলেন দুরন্ত ছন্দে। ১৫ ম্যাচে করেন ৭ গোল।
ব্যালন ডি’অরের নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে গত মার্চে। আগে পুরো বছরের পারফরম্যান্স হিসাব করা হতো। চলতি বছর থেকে বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের একটি পূর্ণাঙ্গ মৌসুমের সময়কে।