নবায়নযোগ্য শক্তিতে চলবে অ্যাপলের সব পণ্য

বণিক বার্তা ডেস্ক

ক্রমবর্ধমান জলবায়ু সংকটের কারণে বিশ্বের বেশ কয়েকটি প্রযুক্তি জায়ান্টকে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের অংশ হিসেবে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের আহ্বান জানানো হয়েছিল। এর অংশ হিসেবে কুপারটিনোভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল ২০৩০ সাল নাগাদ সব আইফোন, ম্যাক আইপ্যাডে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা গ্রহণের কথা জানিয়েছে। খবর টেকটাইমস।

নাইননিউজ প্রথম বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। অ্যাপলের এনভায়রনমেন্ট বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট লিসা জ্যাকসন ১১ আগস্ট অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রতিষ্ঠানের ৪০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপনের সময় নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বিষয়ে বিস্তারিত জানান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি জায়ান্টটি অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে থাকা একটি নতুন বায়ুবিদ্যুৎ ফার্ম থেকে নবায়নযোগ্য শক্তি গ্রহণ করবে। ফার্মটি ৮০ হাজার বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহে সক্ষম।

মূলত নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার নিশ্চিতে অ্যাপল যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সেটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই উদ্যোগ। প্রতিষ্ঠানটি ২০৩০ সাল নাগাদ ব্যবসায়িক কার্যক্রম থেকে শুরু করে সরবরাহ চেইন কাস্টমার পণ্যকে শতভাগ কার্বনমুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ৯নিউজ জানায়, অ্যাপল এরই মধ্যে ২০২০ সালের এপ্রিলে তাদের রিটেইল স্টোর, অফিস অন্যান্য কার্যক্রমকে কার্বন নিরপেক্ষতায় যুক্ত করতে পেরেছে। অর্থাৎ ২০৩০ সাল নাগাদ ব্যবহারকারীদের সব আইপ্যাড, ম্যাক আইফোন নবায়নযোগ্য শক্তিতে পরিচালিত হবে।

যারা বর্তমানে বিদ্যমান শক্তির মাধ্যমে ডিভাইস ব্যবহার করতে চায় অ্যাপল তাদের তথ্য সংরক্ষণ বা অনুসরণ করবে না বলে জানা গিয়েছে। কেননা প্রতিষ্ঠানটি তাদের ১৮০ কোটি ডিভাইস কীভাবে ব্যবহূত হচ্ছে সে বিষয়ে জরিপ চালিয়েছে। নাইননিউজের তথ্যানুযায়ী, জরিপের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাপল ভবিষ্যতে ডিভাইস ব্যবহারের নতুন পরিমাপ বা ব্যবস্থার কথা জানাতে পারে।

অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় দীর্ঘ ইতিহাসের বিষয়টি উদযাপন করতে পেরে এবং পৃথিবীর সুরক্ষায় ব্যবহারকারীদের জীবনমানের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতি ছড়িয়ে দিতে পেরে অ্যাপল গর্বিত। উদযাপনের সময় জ্যাকসন জানান, আমরা জলবায়ু সংকট মোকাবেলার বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছি। পাশাপাশি আমাদের পণ্যগুলো যেন পুরো সময় শূন্য কার্বন নিঃসরণ করে সে লক্ষ্যে আমাদের উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছি।

শূন্য কার্বন নিঃসরণ উদ্যোগের পাশাপাশি অ্যাপল মেলবোর্নের আরএমআইটি সিডনির ইউটিএসের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চার সপ্তাহের সুইফট কোডিং কোর্স চালু করেছে। একই সঙ্গে প্রযুক্তি জায়ান্টটি এক ঘোষণায় জানায়, রেসিয়াল ইকুইটি অ্যান্ড জাস্টিস ইনিশিয়েটিভের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের জন্য প্রোগ্রাম স্পন্সর করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন