কফি রফতানিতে ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছে ভারত

বণিক বার্তা ডেস্ক

নতুন মৌসুমে ভারতে কফি উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ফলে বাড়তে পারে দেশটির রফতানি। বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের শীর্ষ উৎপাদক দেশ ব্রাজিলের রফতানি নিম্নমুখী। অন্যদিকে দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ ভিয়েতনামের পরিস্থিতিও মন্দার মুখে। এমন পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদনের সুবিধা নিচ্ছে ভারত। খবর মানি কন্ট্রোল।

বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য শীর্ষ কফি উৎপাদক দেশগুলোর তুলনায় ভারত বেশ ভালো জায়গা করে নিয়েছে। কফি উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী স্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে দেশটি। ভারতের খাতটি নিয়ন্ত্রণ করে কফি বোর্ড। সরকারের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানটির প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশটিতে লাখ ৯৩ হাজার ৪০০ টন কফি উৎপাদন হতে পারে। এর মধ্যে লাখ ৭৭ হাজার টন রোবাস্তা। বাকি লাখ ১৬ হাজার ৪০০ টন অ্যারাবিকা। এমন সময় প্রক্ষেপণ করা হয়েছে যখন ব্রাজিল ভিয়েতনামে উৎপাদন কমে যাওয়ার পূর্বাভাস মিলেছে।

ব্রাজিলের জাতীয় সরবরাহ কোম্পানি কোনাব সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেশটির কফি উৎপাদন পূর্বাভাস কমিয়েছে। এতে বলা হয়, ২০২২-২৩ মৌসুমে আগের পূর্বাভাসের তুলনায় দেশটিতে ২৩ লাখ ব্যাগ (প্রতি ব্যাগে ৬০ কেজি) কফি উৎপাদন কমবে। সব মিলিয়ে উৎপাদন হবে কোটি ৩৪ লাখ ৩০ হাজার ব্যাগ, যা গত বছরের তুলনায় ১২ শতাংশ বেশি। তবে ২০২০ সালের তুলনায় ১৫ দশমিক শতাংশ কম।

কোনাব বলছে, গত বছর ভয়াবহ খরা তুষারপাতের কারণে ব্রাজিলে কফি উৎপাদনে ধস নামে। বছর উৎপাদন ঘুরে দাঁড়ালেও তা স্বাভাবিকের তুলনায় কম। কারণ দেশটিতে খরার ধকল এখনো কাটেনি। এবার ব্রাজিলে অ্যারাবিকা কফি উৎপাদন ৩১ লাখ ব্যাগ কমতে পারে। তবে রোবাস্তা উৎপাদন বাড়বে লাখ ৬০ হাজার ব্যাগ।

অন্যদিকে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) ভিয়েতনামের কফি উৎপাদন পূর্বাভাস কমিয়েছে। সংস্থাটির দেয়া তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশটিতে কফি উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে কোটি লাখ ব্যাগ, যা গত মৌসুমের তুলনায় লাখ ব্যাগ কম। মূলত ঊর্ধ্বমুখী সারের দামের কারণে দেশটিতে কফি উৎপাদন কমছে।

তথ্য বলছে, বছরের শুরুতে ব্রাজিলে উৎপাদন ঘাটতি রোবাস্তার ঊর্ধ্বমুখী চাহিদার কারণে কফির আন্তর্জাতিক বাজারদর ১০ বছরের সর্বোচ্চে উঠে এসেছিল। প্রতি পাউন্ডের মূল্য দাঁড়ায় ডলার ৬০ সেন্ট। বর্তমানে দাম ওই উচ্চতা থেকে কমে পাউন্ডপ্রতি ডলার ১২ সেন্টে ঠেকেছে। শিল্পসংশ্লিষ্টদের ধারণা, চলতি বছরজুড়ে কফির দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকবে। কারণ ব্রাজিলে উৎপাদন পরিস্থিতির খুব বেশি উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে এমন পরিস্থিতিতে ভারতের রফতানি লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়ার প্রত্যাশা করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন