বৈশ্বিক অর্থনীতিতে শ্লথগতির কারণে কমছে প্যালাডিয়াম ও প্লাটিনামের চাহিদা। ফলে চলতি বছর প্যালাডিয়াম ও প্লাটিনামের আন্তর্জাতিক বাজারদর ব্যাপকভাবে কমার পূর্বাভাস দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
ধাতব পণ্য দুটি প্রাথমিকভাবে গাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। গাড়ির কার্বন নিঃসরণ কমাতে অটো ক্যাটালিক তৈরি করা হয় এ দুই ধাতুর মাধ্যমে। এছাড়া প্লাটিনাম জুয়েলারি ও বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিনিয়োগ খাতেও ব্যবহার হয়।
তথ্য বলছে, চলতি বছরের মার্চে আন্তর্জাতিক বাজারে প্লাটিনামের দাম বেড়ে নয় মাসের সর্বোচ্চে উঠেছিল। প্রতি আউন্সের মূল্য দাঁড়িয়েছিল ১ হাজার ১৭৯ ডলার ৮১ সেন্টে। বর্তমানে তা কমে ৯০০ ডলারে নেমেছে।
অন্যদিকে মার্চে প্যালাডিয়ামের দামও রেকর্ড উচ্চতায় আরোহণ করে। প্রতি আউন্সের দাম ছিল ৩ হাজার ৪৪০ ডলার ৭৬ সেন্ট। বর্তমানে তা কমে আউন্সপ্রতি ২ হাজার ১০০ ডলারে নেমেছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে প্রতি আউন্স প্লাটিনামের গড় দাম ৯০০ ডলারে অবস্থান করবে। চতুর্থ প্রান্তিকে তা কিছুটা বেড়ে ৯১৪ ডলারে পৌঁছতে পারে।
অন্যদিকে তৃতীয় প্রান্তিকে প্যালাডিয়ামের গড় মূল্য দাঁড়াবে ১ হাজার ৯৫০ ডলারে। চতুর্থ প্রান্তিকে তা বেড়ে আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৯৭৫ ডলারে পৌঁছতে পারে। তবে আগামী বছর ধাতুটির গড় দাম ২ হাজার ৬০ ডলারে উন্নীত হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
রাশিয়া বিশ্বের শীর্ষ প্যালাডিয়াম ও প্লাটিনাম উত্তোলক দেশ। কিন্তু ইউক্রেনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় একের পর এক নিষেধাজ্ঞার কারণে সব ধরনের পণ্য রফতানিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে রাশিয়া। এ কারণে চলতি বছরের শুরুর দিকে এসব ধাতুর রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি দেখা দেয়।
তবে বছরের এ পর্যন্ত এসব ধাতু রফতানি অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে রাশিয়া। কিন্তু ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে দেশে দেশে বাড়ানো হচ্ছে সুদের হার। অন্যদিকে বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনে কভিড-১৯ ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কঠোর লকডাউন বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এসব কারণে বিশ্ব অর্থনীতি বর্তমানে মন্দার দিকে এগোচ্ছে। ফলে ভাটা পড়ছে ধাতব পণ্যের চাহিদায়।