সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি

তিন শ্রেণীকক্ষের বিশ্ববিদ্যালয় ১৩ কোটি টাকায় হাতবদল!

সাইফ সুজন

আয়রন স্ট্রাকচারে নির্মিত ভবনটির বাইরে থেকে তাকালে মনে হবে কোনো ওয়ার্কশপ বা গ্যারেজ। যদিও প্রবেশমুখের সাইনবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এটি একটা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। রাজধানীর মিরপুর এলাকায় এমনই একটি ভবনের নিচতলায় মাত্র তিনটি শ্রেণীকক্ষ নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (সিইউএসটি) নামের একটি বিশ্ববিদ্যালয়।

আইন অনুযায়ী, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো থাকতে হয় ন্যূনতম ২৫ হাজার বর্গফুট। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়টির অবকাঠামোর আয়তন মাত্র ১০ হাজার বর্গফুট। প্রতিষ্ঠার ছয় বছর পার হলেও সিইউএসটিতে এখন পর্যন্ত উচ্চশিক্ষার ন্যূনতম মৌলিক সুবিধাই গড়ে ওঠেনি। উল্টো বিশ্ববিদ্যালয়টির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব মামলায় জড়িয়েছেন ট্রাস্টিরা। একটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি) বিদ্যমান থাকা অবস্থায় গঠন করা হয়েছে আরেকটি বোর্ড। দুই ট্রাস্টি বোর্ডের চলমান দ্বন্দ্বের মধ্যেই অতি নিম্নমানের অবকাঠামোয় গড়ে তোলা বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৩ কোটি টাকার বিনিময়ে হাতবদল করে দেয়ার অভিযোগও উঠেছে একটি বোর্ডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।

২০১৬ সালে শর্তসাপেক্ষে সিইউএসটি স্থাপন পরিচালনার সাময়িক অনুমোদন দেয় সরকার। অনুমোদন পাওয়ার পর শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর আগেই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি) সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হয়। অনুমোদনকালে সিইউএসটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সংখ্যা ছিল ১৬। ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক ডা. এমআর খান। ডা. এমআর খানের মৃত্যুর পর ২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর গাজী মাহবুবুল আলমকে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান গাজী এমএ সালামকে সদস্যসচিব করে নয় সদস্যবিশিষ্ট নতুন বোর্ড গঠন করা হয়। সময় আগের বোর্ডের ১১ জন ট্রাস্টি সদস্যকে বাদ দেয়া হয় নতুন করে চারজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যদিও বোর্ডের এত বড় পরিবর্তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) কোনো ধরনের অনুমোদন নেয়া হয়নি। পাশাপাশি আগের বিওটি সদস্যদের সভায় না ডেকে নিয়মবহির্ভূত উপায়ে নতুন বোর্ড গঠনের একতরফা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিষয়ে ইউজিসির একটি তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের বিওটি সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে পত্র মারফত সভায় না ডেকে অনুষ্ঠিত সভার মাধ্যমে নতুন বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন করা হয়। কাজেই নিয়মবহির্ভূতভাবে গঠিত বিওটি গ্রহণযোগ্য নয় বলে কমিটি মনে করে।

এমনকি পদত্যাগপত্রে করা স্বাক্ষরটি ডা. এমআর খানের কিনা সে বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করে তদন্ত কমিটি।

গাজী মাহবুবুল আলম গাজী এমএ সালাম সম্পর্কে সহোদর। এই দুই সহোদরের নেতৃত্বে সিইউএসটির ট্রাস্টি বোর্ডে তাদের বাবা-মা আরেক ভাই গাজী আবুল কালাম আজাদ সদস্য ছিলেন। যদিও পরবর্তী সময়ে গাজী পরিবারের সদস্যদের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়টির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। একপর্যায়ে গাজী এমএ সালাম পরিবারের অন্যসব সদস্যকে বাদ দিয়ে নিজ স্ত্রী মেয়েসহ পছন্দের সদস্যদের নিয়ে নতুন একটি বিওটি গঠন করে নিবন্ধন করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে আগের বোর্ডের সদস্যরা আদালতে মামলা করেন। দ্বন্দ্বের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে লাল তারকায় চিহ্নিত করে শিক্ষার্থীদের সতর্ক করে কমিশন।

মামলার বাদী গাজী এনায়েত হোসেন বিবাদী গাজী এমএ সালামপিতা বড় ছেলে, দুজনই এখন মৃত। তবে তাদের জীবনাবসানেও বিশ্ববিদ্যালয়টির বিওটির দ্বন্দ্বের অবসান হয়নি। বর্তমানে গাজী মাহবুবুল আলম আরেক ভাই আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে গাজী এমএ সালামের স্ত্রী ইলোরা পারভীনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়টির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। দুই পক্ষই দাবি করছে, তাদের নামে গঠিত ট্রাস্টই যৌথ মূলধনি কোম্পানি ফার্মগুলোর পরিদপ্তর (আরজেএসসি) কর্তৃক নিবন্ধিত।

বিষয়ে জানতে চাইলে গাজী মাহবুবুল আলম বণিক বার্তাকে বলেন, ডা. এমআর খান স্যার মারা যাওয়ার পর আমাকে বিওটির চেয়ারম্যান করা হয়। সদস্যসচিব ছিলেন আমার ভাই গাজী এমএ সালাম। ওই বিওটিতে আমাদের বাবা-মা, আরেক ভাই আবুল কালাম আজাদসহ বাইরের আরো চারজন সদস্য ছিলেন। ওই ট্রাস্ট নিবন্ধিত ছিল। হঠাৎ জানতে পারলাম, আমাদের না জানিয়ে গোপনে গাজী এমএ সালাম তার স্ত্রী মেয়েসহ পছন্দের সদস্যদের নিয়ে নতুন একটি ট্রাস্টের সৃষ্টি করেছেন তা নিবন্ধন করেছেন। পরবর্তী সময়ে আমরা সবাই মিলে আদালতে মামলা দায়ের করি। গাজী এমএ সালামের সব অপতত্পরতাকে অবৈধ ঘোষণা করে সম্প্রতি আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়েছেন। আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয় ইউজিসিকে বিষয়টি অবহিত করেছি।

এক বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে দুটি ট্রাস্ট: আরজেএসসিতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির নামে দুটি ট্রাস্ট নিবন্ধিত। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে দুটি ট্রাস্টের নিবন্ধনের বিষয়ে জানতে চাইলে আরজেএসসির এক কর্মকর্তা নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে বণিক বার্তাকে বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়টির নামে একটি ট্রাস্টের নিবন্ধন ছিল। পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশনার আলোকে আরো একটি বোর্ডের নিবন্ধন দেয়া হয়।

গাজী এমএ সালামের মৃত্যুর পর গঠিত দ্বিতীয় বিওটির চেয়ারম্যান পদে বর্তমানে রয়েছেন তার স্ত্রী ইলোরা পারভীন। সম্প্রতি চলমান দ্বন্দ্ব অস্থিরতার মধ্যেই ইলোরা পারভীনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়টি অর্থের বিনিময়ে হাতবদল করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, কয়েক মাস আগে ১২ কোটি টাকার বিনিময়ে একটি ব্যবসায়িক গ্রুপের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়টি হস্তান্তরের কথা হয় ইলোরা পারভীনের। কথার ভিত্তিতে ওই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা অগ্রিম নেন তিনি। তবে এখন ওই প্রতিষ্ঠানটিকে বাদ দিয়ে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে অপেক্ষাকৃত বেশি মূল্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিক্রি করতে যাচ্ছেন ইলোরা পারভীন।

শুরুতে যে প্রতিষ্ঠানের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়টি হস্তান্তরের কথাবার্তা হয়েছিল তার, সেখানকার একজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয় বণিক বার্তার। নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে তিনি বলেন, শুরুতে ১২ কোটি টাকার বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয় হস্তান্তরের কথা থাকলেও তারা পরবর্তী সময়ে বেশি মূল্য দাবি করে। এজন্য আমরা প্রক্রিয়া থেকে সরে এসেছি। যে ৩০ লাখ টাকা অগ্রিম বাবদ নিয়েছেন, তা আগামী ১৫ আগস্ট ফেরত দেয়ার কথা।

বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি সূত্র জানিয়েছে, শিগগিরই অন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠানের কাছে ১৩ কোটি টাকার বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি হস্তান্তর করতে যাচ্ছে ইলোরা পারভীন। বিষয়ে জানতে চাইলে ইলোরা পারভীন বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি বিক্রি করা হচ্ছে না। আমরা আর্থিক সংকটে থাকায় কয়েকজন বিনিয়োগকারী নিচ্ছি। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি হিসেবে যুক্ত করা হবে।

যদিও সিইউএসটির আগের বোর্ডের ট্রাস্টিরা বলছেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ইলোরা পারভীন এখন আর বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষ নয়। বিষয়ে গাজী আবুল কালাম আজাদ বণিক বার্তাকে বলেন, গত মে মাসে দেয়া আদালতের রায় মতে, ইলোরা পারভীন যে বোর্ডের সভাপতি দাবি করছেন, সেই বোর্ডেরই বৈধতা নেই। সুতরাং কেউ যদি তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তি কিংবা লেনদেনে যায়, সেটি আইনগতভাবে অবৈধ।

সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে, বিওটি পুনর্গঠনের নামে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। প্রক্রিয়ায় শুরুতে ক্রেতারা ট্রাস্টি বোর্ডে যুক্ত হন পরবর্তী সময়ে বিক্রেতা পুরনো ট্রাস্টিরা পর্যায়ক্রমে পদত্যাগ করে বিওটি থেকে বেরিয়ে যান।

বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বণিক বার্তাকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় একটি বিওটি থাকবে। যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ট্রাস্ট থাকে, তাহলে সত্যিকার অর্থে কোন ট্রাস্টটি যথার্থ অবস্থানে রয়েছে সেটি খতিয়ে দেখা নিশ্চিত হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় বিক্রি করে দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ধরনের কিছু ঘটনা কমিশনের নজরে এসেছে। তাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে -সংক্রান্ত নির্দেশনা যুক্ত করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সেটি যুক্ত হওয়ার পর থেকে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিওটিতে কোনো ট্রাস্টি যুক্ত কিংবা বিয়োজনযেকোনো ধরনের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কমিশনের মতামত সাপেক্ষে সরকারের অনুমোদন নিতে হবে।

এদিকে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন পক্ষের নানা তত্পরতা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষা অবকাঠামোর মান নিয়ে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই ট্রাস্টিদের। চলতি বছরের শুরুর দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যায় ইউজিসির একটি প্রতিনিধি দল। পরিদর্শনে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে গত ২৭ এপ্রিল একটি প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে ইউজিসির ওই প্রতিনিধি দল। প্রতিবেদনে সিইউএসটির শিক্ষা অবকাঠামোর দুরবস্থার চিত্র উঠে আসে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়টির দোতলা বিশিষ্ট আয়রন স্ট্রাকচার ভবনে মাত্র তিনটি শ্রেণীকক্ষ রয়েছে। ওই ভবনে মাত্র ১০ হাজার বর্গফুট জায়গা রয়েছে। এখানে গ্রন্থাগার, মিলনায়তন, সেমিনার কক্ষ, অফিস কক্ষ, শিক্ষার্থীদের পৃথক কমন রুম, ওয়াশ রুম অন্যান্য কক্ষের জন্য পর্যাপ্ত স্থান অবকাঠামো নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারপাশে কোনো বাউন্ডারি নেই। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জমিটিও লিজ নেয়া।

বিশ্ববিদ্যালয়টির আর্থিক কার্যক্রম বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ট্রেজারার নিয়োগ করা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়টির সংরক্ষিত তহবিলের কোটি টাকার বিপরীতে গৃহীত ঋণ সমন্বয় করা হয়নি। ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমতি নেয়ার কোনো তথ্যও কমিশনে পাওয়া যায়নি।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েকজন বিওটি সদস্য বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল থেকে অবৈধভাবে সম্মানী নিচ্ছেন বলে প্রমাণ পেয়েছে ইউজিসির পরিদর্শক দল। বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিওটির এক কার্যবিবরণীতে দেখা গিয়েছে, বিওটি সদস্য এইচএমএ গাফফার মারা যাওয়ায় আবদুর রউফ তার স্থলাভিষিক্ত হবেন এবং মাসিক লাখ ৫০ হাজার টাকা সম্মানী প্রাপ্ত হবেন’—বিষয়টি ট্রাস্ট অ্যাক্ট পরিপন্থী।

এজন্য বিওটির সদস্যদের যেসব ভাতা বা সম্মানী দেয়া হয়েছে তা বিশ্ববিদ্যালয় ফেরত নিয়ে কমিশনকে অবহিত করার সুপারিশও করা হয় ওই প্রতিবেদনে।

পরিদর্শনে পাওয়া বিভিন্ন অনিয়ম বন্ধ সংশোধনের জন্য গত ২০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে একটি নির্দেশনাপত্র দিয়েছে ইউজিসি। সংরক্ষিত তহবিলের বিপরীতে গৃহীত ঋণের সুদসহ সমন্বয়, ট্রেজারার নিয়োগের প্যানেল প্রেরণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, আয়-ব্যয়ের হিসাব নিরীক্ষা করাসহ ১৬টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক . দিল আফরোজা বেগম বণিক বার্তাকে বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলোর পড়ালেখার মান খুবই নিম্নমানের। কমিশনের বিভিন্ন পরিদর্শন তদন্ত প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে আসে। এক্ষেত্রে প্রতিবেদনের আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়। পাশাপাশি মন্ত্রণালয়কেও বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। অর্থের বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয় বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। ধরনের কোনো ঘটনা জানতে পারলে আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব। প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন