পুরো ডাক ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করার কাজ চলছে —ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডাকঘরকে শ্রেষ্ঠতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ চলছে। ডিজিটাইজেশনের প্রভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে চিঠি আদান-প্রদানের যুগ শেষ হয়ে গেলেও পণ্য পরিবহনে ডাকঘর হচ্ছে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সেবা প্রতিষ্ঠান। দেশের নয় হাজার ডাকঘরের ৪৪ হাজার কর্মী ১৮ হাজার উদ্যোক্তা মিলিয়ে বিস্তৃত অবকাঠামো কাজে লাগিয়ে ডাক বিভাগকে শ্রেষ্ঠতম প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি পুরো ডাক ব্যবস্থাকে ডিজিটাল করার কাজ চলছে।

ডাক টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া এবং বালিহাটি ডাকঘর ভবনের নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন।

ডাক টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ডাক সেবাকে ডিজিটাইজ করতে গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, ডাকঘরকে বিশ্বের সেরা ডাক কেন্দ্রে রূপান্তরের জরিপ কাজ চলছে। সেপ্টেম্বরেই কাজ শেষ হওয়ার কথা। এর পরই আমরা প্রকল্প প্রণয়নের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করব। বর্তমানে দেশের মানুষ এসএমএস, মেইল, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমোতে দেশে-বিদেশে থাকা প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলে। এগুলো আমাদের জন্য প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করেছি। কথা ডিজিটালি হলেও পণ্য তো সশরীরে পাঠাতে হয়। আজকের বাংলাদেশের ডাক বিভাগের সফলতার পেছনে আমাদের রক্ত, ঘাম, পরিশ্রম মিশে আছে।

তিনি আরো বলেন, দেশের ডাক বিভাগকে ডিজিটাইজ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় কাজ করছি। এরই মধ্যে ১৪টি শর্টিং সেন্টার নির্মাণ ডিজিটাইজ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী দেশের ৬৪টি জেলার সব টি শর্টিং সেন্টার ডিজিটাইজ করার জন্য একনেক বৈঠকে অনুশাসন দিয়েছেন। একই সঙ্গে রেলে চিলিং বগি আমাদের চিলিং ভ্যান চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছি।

মন্ত্রী বলেন, খুব সহসাই আপনারা বাড়িতে বসেই সেলফোনের মাধ্যমে জানতে পারবেন আপনার পার্সেলটা কোথায় আছে। আরো জানতে পারবেন, কোন পোস্টম্যানের কাছে বা কে ডেলিভারি দেবে। দেশের কোনো কুরিয়ার সার্ভিস ডাক বিভাগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যোগ্যতা রাখে না। বাংলাদেশে নয় হাজারের মতো ডাকঘর রয়েছে। এগুলোয় কর্মরত পোস্টম্যানরা প্রত্যেক বাড়ি চেনেন। ব্যবস্থা কোনো কুরিয়ার সার্ভিস করতে পারবে না।

মন্ত্রী নির্মাণাধীন ডাকঘরের নির্মাণকাজ ঘুরে দেখেন এবং কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

ডাক অধিদপ্তর স্থানীয় উপজেলার পদস্থ কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় গণ্যমান্যরা সময় উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার সাটুরিয়ায় অবস্থিত দরগ্রাম ডিজিটাল পল্লী পরিদর্শনকালে মন্ত্রী বলেন, গ্রামেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেয়া হবে। এজন্য ইউনিয়ন পর্যায়ের ডাকঘরগুলোকে প্রযুক্তিনির্ভর সেবা দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করার পাশাপাশি গ্রামে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিটিসিএলের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। সে লক্ষ্যে ফ্রিল্যান্সারদের সহযোগিতায় টাঙ্গাইলের মধুপুর ধনবাড়ী বা ধর্মপাশার মতো মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় অবস্থিত দরগ্রামে অবস্থিত দেশের প্রথম ডিজিটাল পল্লীতেও বিটিসিএলের ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছে দেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন