
ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দর থেকে আজ শুক্রবার
দুটি শস্যবাহী জাহাজ যাত্রা করেছে। এর মধ্যে একটিতে রয়েছে গম। জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্ততায়
সম্পন্ন চুক্তির পর এই প্রথম কোনো গমবাহী জাহাজ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির বন্দর ছাড়ল।
তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে
খবরটি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সপ্তাহ দু-একের মধ্যে ইউক্রেনের বিভিন্ন বন্দর
ছেড়েছে ১৪টি জাহাজ। গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রুশ আক্রমণের পর থমকে দাঁড়িয়েছিল দেশটির
আমদানি-রফতানি। এর পাঁচ মাস পর মস্কো-কিয়েভের বিরল এক সমঝোতায় চালু হয়েছে কৃষ্ণ সাগরের
কয়েকটি বন্দর।
বিশ্বের অনেক দেশ ইউক্রেনের শস্যের ওপর নির্ভরশীল।
জাতিসংঘ দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাসও দিয়েছিল। জুলাইয়ের শেষ দিকে মস্কো-কিয়েভের চুক্তি হয়।
এরপর ১ আগস্ট প্রথম জাহাজটি ভুট্টা নিয়ে লেবাননের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
আজ শুক্রবার বেলজিয়ামের পতাকাবাহী একটি জাহাজ
৩ হাজার ৫০ টন গম নিয়ে চোরনোমর্স্ক বন্দর ছাড়ে, যার গন্তব্য তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয়
তেকিরদা প্রদেশ।
এই চালানের মাধ্যমে যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেন
থেকে প্রথমবার গম রফতানি হলো। ২৪ ফেব্রুয়ারির আগের হিসাব মতে, ইউক্রেন ও রাশিয়া মিলে
বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ গম রফতানি করে।
ইউক্রেনে গত বছর উৎপাদিত ২ কোটি টন শস্য এখনো
মজুত রয়েছে। চলতি বছরে এর সঙ্গে আরো ২ কোটি টন গম যুক্ত হতে পারে।