জ্বালানি তেল

মূল্যবৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো কেন প্রয়োজন ছিল তা যেন মানুষকে পরিষ্কার করে ব্যাখ্যা দেয়া হয়এজন্য বিদ্যুৎ জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভায় তিনি নির্দেশ দেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সচিবালয়ে অংশ নিয়েছিলেন মন্ত্রীরা। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, অনির্ধারিত আলোচনায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর যৌক্তিকতা বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরতে জ্বালানি বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। যদিও জ্বালানি মন্ত্রণালয় বিপিসির (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন) চেয়ারম্যান এরই মধ্যে প্রেসে বিস্তারিত বলেছেন। সেটি মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।

মন্ত্রিসভার বরাত দিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরো বলেন, এগুলো (জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি) নিয়ে ওনারা (বিপিসি) বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন, এর মধ্যে আবার ব্যাখ্যা দেবেন। যেহেতু এটি কারিগরি বিষয়, তাই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে বলে দেয়া হয়েছে। তারা যে ব্রিফিং করেছে, সেটি যেন পুনরায় করা হয়। কিছুদিন পরপর যেন এটি করা হয়, সেটিও বলা হয়েছে বৈঠকে।

সরকার আগস্ট রাতে ডিজেল কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা নির্ধারণ করে। আর পেট্রলের দাম ৪৪ টাকা বাড়িয়ে লিটারপ্রতি ১৩০ এবং অকটেন ৪৬ টাকা বাড়িয়ে লিটারপ্রতি নির্ধারণ করা হয় ১৩৫ টাকা। মূল্যবৃদ্ধির হার ৪২ থেকে ৫১ শতাংশ। এমন সময়ে দাম বাড়ানো হয়েছে, যখন বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমতির দিকে। মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিপিসি অবশ্য লোকসানের কথা বলছে। অথচ বিগত বছরে অর্থাৎ ২০২০-২১ পর্যন্ত টানা সাত অর্থবছরে জ্বালানি তেল বিক্রি করে বিপুল মুনাফা করেছে সরকারি সংস্থাটি। ওই সময়ে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম অনেক কম থাকলেও সরকার দেশে তেমন একটা কমায়নি। এখন কয়েক মাস ধরে লোকসান গোনার অজুহাত দেখিয়ে ডিজেল-পেট্রলের দাম রেকর্ড পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া হলো।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন