রাশিয়ার সঙ্গে রফতানিসংক্রান্ত চুক্তি

এখন পর্যন্ত ইউক্রেন ছেড়েছে ১২টি কৃষিপণ্যবাহী জাহাজ

বণিক বার্তা ডেস্ক

কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দর দিয়ে ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রফতানি অব্যাহত আছে। নিরাপদ করিডর চুক্তির অধীনে সর্বশেষ গত মঙ্গলবার চরনোমর্স্ক বন্দর ত্যাগ করেছে ইউক্রেনিয়ান খাদ্যশস্যবাহী দুটি জাহাজ। চুক্তির আওতায় পর্যন্ত ১২টি জাহাজযোগে শস্য কৃষিপণ্য রফতানি করেছে ইউক্রেন। খবর ওয়ার্ল্ড গ্রেইন ডটকম।

তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য বলছে, সর্বশেষ একটি কার্গোযোগে দক্ষিণ কোরিয়ায় ৬৪ হাজার ৭২০ টন ভুট্টা রফতানি করা হয়। অন্য কার্গোটি হাজার ৩০০ টন সূর্যমুখী তেল পশুখাদ্য নিয়ে তুরস্কের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

এর আগে আগস্ট ইউক্রেন ছেড়ে যায় খাদ্যশস্যবাহী চারটি জাহাজ। এসব জাহাজ ইস্তানবুলের কাছাকাছি নোঙর করে রাখা হয়েছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনিটরিংয়ের পর এসব জাহাজ গন্তব্যে পৌঁছবে।

এদিকে গতকাল একটি জাহাজ চরনোমর্স্ক বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় জাহাজটি ছাড়তে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালায়। সময় রুশ সৈন্যরা ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দর অবরোধ করে ফেলে। এতে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ খাদ্যশস্য সরবরাহকারী দেশটির রফতানি বন্ধ হয়ে পড়ে। বিশ্ববাজারে দেখা দেয় খাদ্যশস্যের তীব্র সংকট। ঊর্ধ্বমুখী চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে দাম। ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রফতানি বন্ধ থাকলে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ ভয়াবহ খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করে জাতিসংঘ। এমন সতর্কবার্তার পরই জাতিসংঘ তুরস্কের মধ্যস্থতায় গত ২২ জুলাই রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্যে খাদ্যশস্য রফতানিসংক্রান্ত একটি চুক্তি হয়।

চুক্তি অনুযায়ী, ইউক্রেন কৃষ্ণ সাগরীয় বন্দর ব্যবহার করে খাদ্যশস্য অন্যান্য কৃষিপণ্য রফতানি করছে। অন্যদিকে রাশিয়াও শস্য সার রফতানি শুরু করবে। চুক্তির পরদিনই তুরস্কের ইস্তানবুলে একটি জয়েন্ট কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (জেসিসি) খোলা হয়েছে। উদ্দেশ্য করিডরটি দিয়ে জাহাজ চলাচল রফতানিসংক্রান্ত বিষয়গুলো তদারক করা।

যুদ্ধ শুরুর আগে বৈশ্বিক গম রফতানির ৩০ শতাংশই আসত রাশিয়া ইউক্রেন থেকে। এছাড়া ইউক্রেন এককভাবেই বিশ্বের শীর্ষ ভুট্টা সূর্যমুখী তেল রফতানিকারক। যুদ্ধের মধ্যেই বাড়তে থাকা মজুদ থেকে প্রায় কোটি ২০ লাখ টন খাদ্যশস্য রফতানির চেষ্টা চালিয়েছে ইউক্রেন। নতুন মৌসুমে শস্য উত্তোলনের আগেই মজুদ খালি করার পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন