চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) সফটব্যাংক গ্রুপ করপোরেশন ৩ লাখ ১৬ হাজার কোটি ইয়েন (২ হাজার ৩৪০ কোটি ডলার) নিট লোকসান করেছে। কিয়োদো নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্রথম কোনো জাপানিজ প্রতিষ্ঠানের লোকসান এত বেশি ছিল।
চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে সফটব্যাংকের নিট লোকসান ছিল ২ লাখ ১০ হাজার কোটি ইয়েন। অথচ গত বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটি ৭৬ হাজার ১৫১ কোটি ইয়েন মুনাফা করেছিল। প্রথম প্রান্তিকের পর এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে আবারো লোকসানের মুখ দেখেছে সফটব্যাংক।
এ বিষয়ে সফটব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসাইয়োশি সান বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান শুরু হওয়ার পর থেকে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি লোকসান হয়েছে। আমার এ বিষয়ে গভীর অনুশোচনা রয়েছে। আশা করছি, এখান থেকে আমি শিক্ষা নিতে পারব।
এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির আয় ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ১ লাখ ৫৭ হাজার কোটি ইয়েনে উন্নীত হয়েছে। তবে পুরো বছরের পূর্বাভাস এখনো প্রকাশ করেনি সফটব্যাংক।
দ্বিতীয় প্রান্তিকের বিরাট লোকসানের জন্য দায়ী করা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির ভিশন ফান্ড ব্যবসাকে। ভিশন ফান্ড থেকে প্রতিষ্ঠানটির ২ লাখ ৯০ হাজার কোটি ইয়েন লোকসান হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির এ বিভাগ মূলত স্টার্টআপ ব্যবসায় বিনিয়োগ করে থাকে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জের ধরে বৈশ্বিক মন্দার আশঙ্কায় বিভিন্ন দেশে মূল্যস্ফীতির হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বিনিয়োগ কমে যায় স্টার্টআপ ব্যবসায়। মার্কিন ডলারের বিপরীতে দরপতন হয়েছে জাপানি মুদ্রা ইয়েনের। এসবই প্রভাব ফেলেছে প্রতিষ্ঠানের লোকসানের অঙ্ক বাড়াতে।
এ বিষয়ে মাসাইয়োশি সান জানান, তুলনামূলক কম বিনিয়োগ করা হয়েছে সব ক্ষেত্রেই। তবে ভিশন ফান্ডের কার্যক্রমের ১০ হাজার কোটি ডলারের তহবিল থেকেই মূলত লোকসান করে প্রতিষ্ঠানটি।
চলতি বছরের মার্চে সমাপ্ত অর্থবছরে ১ লাখ ৭১ হাজার কোটি ইয়েন নিট লোকসান করে প্রতিষ্ঠানটি, যা রেকর্ড পরিমাণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মাধ্যমে সফটব্যাংকের ব্যবসার অস্থিতিশীলতা প্রতিফলিত হয়। ক্ষতি কমাতে ভিশন ফান্ডের কর্মী সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা করছে সফটব্যাংকের সিইও। তিনি বলেন, বৈশ্বিকভাবে আমাদের কর্মী সংখ্যা পর্যালোচনা করতে হবে।
