কারখানার ছাদে সৌরবিদ্যুৎ চালু করল প্যাসিফিক জিনস

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্যাসিফিক জিনস গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সাল জিন্সের কারখানার ছাদে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো সাড়ে তিন মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প। কারখানাটির অবস্থান চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড)। 

বেপজা সূত্রে জানা গেছে, সরকারি আটটি ইপিজেডের যেসব কারখানায় সৌরবিদ্যুৎ চালু হয়েছে সেগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প। 

গত সোমবার বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (বেপজা) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান এর উদ্বোধন করেন। এ সময় প্যাসিফিক জিনস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর উপস্থিত ছিলেন।  

প্রায় ৫০ হাজার বর্গফুট আয়তনের ইউনিভার্সাল কারখানার ছাদে গত এপ্রিলে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছিল। সাফল্য পাওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে সোমবার উদ্বোধন করা হয়। 

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্যাসিফিক গ্রুপের এ কারখানাটির মোট চাহিদার ১০ শতাংশ আসছে সৌরবিদ্যুৎ থেকে। এতে বছরে ৭০০ টন কার্বন নিঃসরণ কমবে। এ প্রকল্পে বিনিয়োগ হয়েছে ৫ লাখ ডলার। 

প্যাসিফিক গ্রুপ জানায়, গ্রুপের কারখানার ছাদে প্রথম সৌরবিদ্যুৎ চালু হয় ২০১৭ সালে এনএইচটি ফ্যাশনস লিমিটেডে। চালুর পর ছোট আকারের এ সৌরবিদ্যুৎ থেকে এ পর্যন্ত ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে। 

গ্রুপটির পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী সেপ্টেম্বরে প্যাসিফিক জিন্সের কারখানার ছাদে সাড়ে পাঁচ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার সৌরবিদ্যুত প্রকল্প চালু হবে। এভাবে ২০২৫ সালের মধ্যে গ্রুপটির ১০টি কারখানার ছাদ সৌরবিদ্যুতের আওতায় আসবে। এ ১০টি কারখানার ছাদে সৌরবিদ্যুৎ থেকে আসবে প্রায় ৩৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এতে বছরে ৬ হাজার ৪৫৮ টন কার্বন নিঃসরণ কমবে। 

সবুজ জ্বালানি ব্যবহারে এগিয়ে থাকা প্যাসিফিক জিনস গ্রুপ বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৫ কোটি পিস জিনস রফতানি করেছে। তাতে রফতানি আয় হয়েছে ৫০ কোটি মার্কিন ডলার বা ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। এ শিল্পগোষ্ঠীতে কাজ করেন ৩২ হাজার কর্মী। বর্তমানে জিনসের পাশাপাশি নিট ও কাজের পোশাক (ওয়ার্কওয়্যার) রফতানি করছে তারা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন