জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কষ্ট আমাদের সহ্য করতে হবে —প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কষ্ট আমাদের সহ্য করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা . তৌফিক--ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম। গতকাল বাংলাদেশ এনার্জি সোসাইটি আয়োজিত সাসটেইনেবল এনার্জি সিকিউরিটি ইন বাংলাদেশ-ভিশন অব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শীর্ষক ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

. তৌফিক--ইলাহী বলেন, আজ আমাদের দেশে তেলের দাম নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। অনেকে অনেক কথাই বলছেন। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী দেশ আমেরিকায় প্রতি গ্যালন পেট্রলের দাম ডলার। বাংলাদেশী বিনিময়মূল্যে তা লিটারপ্রতি দাঁড়ায় ১২০-১৩০ টাকা। কুয়েতে ১০০ টাকার কাছাকাছি বা তার আশপাশে ওঠানামা করে। মনে রাখতে হবে, আমাদের বিদেশ থেকে এনে চালাতে হয়। সুতরাং কষ্ট আমাদের সহ্য করতে হবে। কষ্ট আমরা নিজেরা ডেকে আনিনি। পৃথিবীর জনগণের ভাগ্য নিয়ে যারা খেলছেন তারাই এটা এনেছেন।

তিনি আরো বলেন, এটির কারণে পশ্চিমা দেশগুলো নিজেরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সেই সঙ্গে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশ কিংবা আফ্রিকার মতো দেশগুলোকে বিরাট বিপদের মুখে ফেলে দিচ্ছে। তাই যুদ্ধ বন্ধে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে এবং যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানাতে হবে।

ওয়েবিনারে সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুহম্মদ আজিজ খান বলেন, বাংলাদেশের গ্যাস ফিল্ডে বিনিয়োগ হয়নি। বিদেশী কোম্পানি যারাই বাংলাদেশে আসে তারা রফতানি চায়। প্রায় ৭০ টিসিএফ গ্যাস আছে বলে যখন ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) এল, তখন বাংলাদেশে অনেক বিদেশী কোম্পানি এসেছে। তারা বলেছে যে আমরা এটাকে উত্তোলন করব এবং রফতানি করব। এরই ধারাবাহিকতায় যখন বাংলাদেশ সরকার, পেট্রোবংলা অফশোরে চেষ্টা করেছে তখন তারা রকম বিনিয়োগকারী পায়নি। কারণ আমরা বলেছি যে আমাদের পুরো গ্যাস লাগবে।

তিনি বলেন, জ্বালানি খাতে বাংলাদেশকে স্বনির্ভর হতে হলে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে লাগবে। সরকারি বেসরকারি খাতের সমন্বয়ে দেশের উন্নয়নই ছিল বঙ্গবন্ধুর দর্শন।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ . তামিম বলেন, জ্বালানিতে ভর্তুকি দিয়েই এখন পর্যন্ত অর্থনৈতিক অবকাঠামোটা বাংলাদেশে চলছে। সেখানে যদি আমরা পরিবর্তনশীল মূল্যের দিকে যেতে চাই তাহলে স্থানান্তরটা ধীরে ধীরে করতে হবে। এত দ্রুততার সাথে করলে অসুবিধা। আর মূল্য নির্ধারণযোগ্য করতে হলে সরকারের দাম বাড়ানো-কমানোর কথাটা আসবে না। কারণ যখন দাম কমবে সরকার লাভ করবে আর দাম বাড়লে সরকার টাকাটা দিয়ে সমন্বয় করবে। নীতিটা থাকলে আজকে আমাদের সমস্যা হতো না।

বাংলাদেশ এনার্জি সোসাইটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ এনার্জি সোসাইটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার আব্দুস সালেহ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন মোল্লা মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন