দেশে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ওপর। আটা, ময়দা ও চিনির বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ১০০-১৫০ টাকা পর্যন্ত। ডিমের ডজন ও মুরগির কেজিও কিনতে হচ্ছে ১০-২০ টাকা বেশি দিয়ে। চাল এখনো আগের মূল্যে বিক্রি হলেও মিল থেকে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে বলে জানান পাইকারি ব্যবসায়ীরা। ফলে দু-একদিনের মধ্যে প্রধান এ খাবারপণ্যটির দামও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগুন লাগতে শুরু করেছে সবজির বাজারেও। মূলত বাড়তি টাকায় কেনা জ্বালানি তেলে উৎপাদন ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় সবকিছুতেই দামের এ কোপ বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর বেশ কয়েকটি খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, মোটা চাল (আটাশ) প্রতিবস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকায়। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৫৫-৫৮ টাকা। আর চিকন চাল (মিনিকেট) প্রতি বস্তা কিনতে হচ্ছে ৩ হাজার ৪০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে। খুচরা বাজারে সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ৭২-৭৫ টাকায়। তবে পাইকারি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, মিল থেকে প্রতি বস্তা চাল ৭০-৮০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হচ্ছে তাদের। ফলে চালের দাম আরো বাড়বে। বেড়েছে চিনি, আটা ও ময়দার দামও। চিনির বস্তা (৫০ কেজি) কিনতে হচ্ছে ১০০-১৩০ টাকা বেশিতে। বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকা করে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৩-৫ টাকা বেড়ে হয়েছে ৮৫-৯০ টাকা।
দেশের অন্যতম সবজিজোন হিসেবে পরিচিত যশোরের সাতমাইল-বারিনগর। এখানে বছরে শতকোটি টাকার সবজি উৎপাদন হয়, যা জেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। কিন্তু জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর একদিনের ভেতরেই প্রভাব পড়েছে সবজির হাটে। ব্যাপারীরা বলছেন, ট্রাকভাড়া বাড়ানোর কারণে একদিনের ব্যবধানে প্রায় সব সবজিতে কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা দাম বেড়েছে। স্থানীয় ব্যাপারী উজ্জ্বল হোসেন বলেন, কাঁচাবাজারের যে পরিস্থিতি তাতে করে আমাদের ব্যবসা করার কোনো পরিস্থিতি নেই।