চিকিৎসা ও গবেষণা নিয়ে কাজ করছে যে ক’টি প্রতিষ্ঠান

ফিচার ডেস্ক

দেশে ক্যান্সারের চিকিৎসা সরকারি বেসরকারি দুইভাবেই চালু রয়েছে। তবে ক্যান্সার বিশেষায়িত পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল রয়েছে মাত্র একটি। এটি হলো জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতাল। ১৯৮৬ সালে শুধু বহির্বিভাগ সেবা দিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর ১৯৯১ সালে ৫০ শয্যার অন্তর্বিভাগ চালু হয়। বর্তমানে ৫০০ শয্যা রয়েছে হাসপাতালটিতে। সাধারণ রোগীদের পঞ্চাশ শতাংশ এবং হতদরিদ্র রোগীদের সম্পূর্ণ ওষুধ হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে দেয়া হয়।

সরকারিভাবে প্রতিষ্ঠানের পর রোগীরা বেশি আসে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বর্তমানে ভর্তি রোগীদের জন্য ৭২টি শয্যা রয়েছে। হাসপাতালটিতে সব ধরনের রেডিওথেরাপি কেমোথেরাপি দেয়া হয়। এছাড়া বেশকিছু কেমোথেরাপির ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া হয় রোগীদের। যেসব কেমোথেরাপি খুব অল্প সময়ের মধ্যে দিয়ে দেয়া যায়, তার জন্য আলাদা ডে কেয়ার চালু করা হয়েছে। ভর্তি হওয়ার এক-দুই ঘণ্টার মধ্যেই সেবাটি নিতে পারে রোগীরা। তবে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ জনকে সেবা দিতে পারছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

আর যেসব রোগীর কেমোথেরাপি দিতে একদিন বা তার বেশি সময় লাগে তাদের সাধারণ ওয়ার্ডে ভর্তি হতে হয়। ১৪ বছরের ওপরে সব বয়সী রোগীরা কেমোথেরাপি নিতে পারছে বিভাগে এসে। আর সব বয়সীদের রেডিওথেরাপি দেয়ার সুযোগ রয়েছে এখানে। তবে ১৪ বছরের কম বয়সী ক্যান্সার রোগীদের কেমোথেরাপি দেয়া হয় শিশু ক্যান্সার বিভাগে।

দুটি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দেশের বিভাগীয় শহরের পুরনো মেডিকেল কলেজগুলোতে ক্যান্সারের আলাদা বিভাগ রয়েছে। আর বেসরকারি পর্যায়ে রাজধানীতে ডেল্টা মেডিকেল কলেজ, আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতাল, এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্কয়ার হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল, এভারকেয়ার, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি হাসপাতালসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান সেবা দিয়ে আসছে। এছাড়া ঢাকার বাইরে সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সিলেটে নর্থইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যান্সারে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন