ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা

ফিচার ডেস্ক

ফুসফুস ক্যান্সার নির্মূলে প্রথমে রোগটি শনাক্ত করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সারের কোনো নির্দিষ্ট উপসর্গ দেখা দেয় না। যখন রোগটি চরম পর্যায়ে পৌঁছায় তখন কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন ক্রমাগত কাশি, শ্বাসকষ্ট, রক্তসহ কফ বের হওয়া, বুকে ব্যথা, শরীরের ওজন কমে যাওয়া কিংবা কণ্ঠস্বর বসে যাওয়া। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, এসব উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে প্রাথমিকভাবে একটি বুকের এক্স-রে সিটি স্ক্যান করতে হবে। যদি এসব পরীক্ষার ফলাফলে ফুসফুসের ক্যান্সার নির্দেশ করে তাহলে চূড়ান্তভাবে নির্ণয়ের জন্য তাদের পিইটি-সিটি স্ক্যান এবং সিটি বা ব্রঙ্কোস্কোপি গাইডেড ট্রুকাট বায়োপসি করাতে হয়। রোগটি নির্ণয় হওয়ার পর চিকিৎসা ব্যবস্থায় যেতে হবে রোগীদের।

সাধারণত ক্যান্সারের চারটি পর্যায় থাকে। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় চতুর্থ পর্যায়। আর চারটি পদ্ধতিতে ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা হয়ে থাকে। সার্জারি, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি টার্গেটেড থেরাপি।

আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যান্সার রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান চৌধুরী বণিক বার্তাকে বলেন, রোগীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী প্রথম, দ্বিতীয় ধাপে সার্জারি করার সুযোগ রয়েছে। টিউমারটি যদি ছোট থাকে সার্জারিই সবচেয়ে ভালো। দ্বিতীয় ধাপে সার্জারি না করা গেলে অনেকের কেমোথেরাপি দেয়া হয়। তাছাড়া তৃতীয় ধাপে ক্যান্সারটি অনেক অগ্রসর হয়ে যায়। এক্ষেত্রে কেমোথেরাপি বা রেডিওথেরাপি অথবা টার্গেটেড থেরাপি দিয়ে চিকিৎসা করা হয় তাদের।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, রোগীর অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগ বা বয়স বেশি হলে কেমো বা অন্যান্য থেরাপি দিতে হয়। এছাড়া কারো যদি চতুর্থ পর্যায়ে গিয়ে রোগটি ধরা পড়ে তাহলে তাকে কেমো, রেডিও অথবা টার্গেটেড থেরাপির চিকিৎসা দিতে হয়। তবে রোগীর জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা দেয়াই উত্তম হিসেবে মনে করেন তারা।

ডা. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ফুসফুস ক্যান্সারের রোগীদের মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে হলে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্ত করতে হবে। যদিও দেশে জেলা বিভাগীয় পর্যায়ে ক্যান্সার শনাক্তকরণের সুবিধা নেই। তবে যেসব এলাকায় ধূমপানের প্রবণতা বেশি সেসব এলাকার মানুষদের ক্যান্সারের স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনতে পারলে দেশে ফুসফুস ক্যান্সারের রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে আনা সম্ভব।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন