যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কর্মসংস্থানের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মূল্যস্ফীতির হার। মধ্যবর্তী নির্বাচনের মাত্র তিন মাস আগে এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জন্য কিছুটা স্বস্তির খবর। এপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে লাখ ২৮ হাজার কর্মসংস্থান যোগ হয়েছে।

কর্মসংস্থান বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্বের হার দশমিক শতাংশ থেকে কমে দশমিক শতাংশে স্থির হয়েছে। কভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবে ২০২০ সালের মার্চ এপ্রিলে দেশটি কোটি ২০ লাখ কর্মসংস্থান হারায়। তবে সম্প্রতি কর্মসংস্থানগুলো পুনরুদ্ধার হয়েছে। এর জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রে আদৌ অর্থনৈতিক মন্দা আসন্ন কিনা তা নিয়ে সংশয় জন্মেছে।

বিষয়ে ফিচ রেটিংসের প্রধান অর্তনীতিবিদ ব্রায়ান কুলটন বলেন, মার্কিন অর্থনীতি বার্ষিক ৬০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান যোগ করছে। সাধারণত একটি বছরে যে পরিমাণ কর্মসংস্থান দেখা যায়, তার থেকে তিনগুণ বেশি কর্মসংস্থান যুক্ত হচ্ছে।

চলতি বছরের জুলাইয়ে লাখ ২৮ হাজার কর্মসংস্থান যোগ করা হয়েছে। অথচ অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশা ছিল গত মাসে মাত্র লাখ ৫০ হাজার কর্মসংস্থান যুক্ত হবে। তবে বাস্তব চিত্র অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারির পর এখন পর্যন্ত নতুন কর্মসংস্থানের সর্বোচ্চ মাস ছিল জুলাই।

চলতি বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচন। অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কায় যখন যুক্তরাষ্ট্র ভীত, এমন সময় বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির কাণ্ডারির ভূমিকায় অন্য কোনো মুখ দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব চলছে মার্কিনদের মধ্যে। তবে গত মাসে কর্মসংস্থানের হার বাইডেনের অবস্থানের পক্ষে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির হার গত চার দশকের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। টানা দুই প্রান্তিক অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে। চিত্র এক অর্থে মন্দারই ইঙ্গিত দেয়। সেখানে কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি দিয়ে বিচারের কোনো সুযোগ নেই।

তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হারের জন্য গৃহীত নীতির ভূমিকা উল্লেখ করছেন। যদিও সময় তিনি মূল্যস্ফীতির হারের প্রভাবও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কর্মীরা চাকরির খোঁজে কর্মকর্তাদের শরণাপন্ন হচ্ছেন না। বরং কর্মী নিতে প্রতিযোগিতা চলছে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে।

কভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে মার্কিনদের লাখ ৯০ হাজার কোটি ডলারের প্যাকেজ সহায়তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যদিও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির হারের পেছনে দায় রয়েছে প্রশাসনিক ব্যয়েরও।

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের জের ধরে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দামের ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত ছিল। তবে সম্প্রতি গ্যাসোলিনের দাম কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগ জানিয়েছে, গত মাসে কর্মীদের ঘণ্টাপ্রতি আয় জুনের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আয় বেড়েছে দশমিক শতাংশ। তবে অনিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতির হারের সঙ্গে টিকে থাকার জন্য এটি যথেষ্ট নয়।

বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা শিল্প খাত এবং হোটেল রেস্তোরাঁ ব্যবসায় কর্মসংস্থান ঊর্ধ্বমুখী ছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন