দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলার লোকসানে বার্কশায়ার

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে হাজার ৩৭৬ কোটি ডলার লোকসান গুনেছে। অনিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতি সুদহার বৃদ্ধির চাপ পড়েছে অর্থনীতিতে। এরই ধারাবাহিকতায় মার্কিন বিলিয়নেয়ার ওয়ারেন বাফেটের মালিকানাধীন সংস্থাটি লোকসানের সম্মুখীন হয়েছে। এপির এক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে।

সম্প্রতি বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে জানায়, প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগমূল্য হাজার ৩০০ কোটি ডলার কমে গিয়েছে। এর জের ধরেই প্রায় হাজার ৪০০ কোটি ডলার লোকসান করেছে প্রতিষ্ঠানটি। দ্বিতীয় প্রান্তিকে বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের তিনটি বৃহত্তম বিনিয়োগ করা হয় অ্যাপল, আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক অব আমেরিকায়। এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে তিন প্রতিষ্ঠানের স্টক মূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।

বিষয়ে ওয়ারেন বাফেট বলেন, প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিমাপের জন্য বার্কশায়ারের পরিচালন আয় বিবেচনা করা উত্তম। কারণ এক্ষেত্রে বিনিয়োগ আয় কিংবা লোকসান বিবেচনা করা হয় না।

বিনিয়োগ ব্যতীত বার্কশায়ারের মালিকানাধীন সংস্থা ৯০টিরও বেশি। সামষ্টিক অর্থনীতির একটি ক্ষুদ্র অংশ হিসেবে বার্কশায়ারকে বিবেচনা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির শিল্পোৎপাদন, খুচরা ব্যবসা, বীমা, উপযোগিতা পরিষেবা ব্যবসা বিভিন্ন শিল্প খাতজুড়ে প্রভাব ফেলে।

আর্থিক পরিষেবা সংস্থা এডওয়ার্ড জোনসের বিশ্লেষক জিম শানাহান বলেন, বার্কশায়ারের পরিচালন কার্যক্রমের ফলাফলের মাধ্যমে বোঝা যায় যে, ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতির হার দমনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পণ্যদ্রব্যের দাম বাড়িয়ে চলেছে। পাশাপাশি উচ্চ সুদের হার বার্কশায়ারের গাড়ির চুক্তিকারকদের নেটওয়ার্কে প্রভাব ফেলেছে। প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য সংস্থা আবার বিনিয়োগ হার বৃদ্ধির সুবিধা ভোগ করছে। জিম শানাহান জানান, এটি এমন একটি ব্যবসা যার প্রভাব রয়েছে অর্থনীতির বিভিন্ন অংশে।

এদিকে বার্কশায়ারের পক্ষ থেকে বলা হয়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানের আয় ১০ শতাংশেরও বেশি বেড়ে হাজার ৬২০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়। এপ্রিল-জুন শেষে প্রতিষ্ঠানটির নগদ অর্থ ছিল ১০ হাজার ৫৪০ কোটি ডলার। অথচ বছরের প্রথম তিন মাস শেষে বার্কশায়ারের নগদ অর্থের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ৬০০ কোটি ডলার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর অর্থ এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে ওয়ারেন বাফেট তুলনামূলক কম স্টক কিনেছিলেন। যদিও অক্সিডেন্টাল পেট্রোলিয়ামে কয়েকশ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। বছরের প্রথম তিন মাসে বার্কশায়ার স্টকে হাজার ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছিল।

এদিকে শেয়ার ফেরত পেতে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছিল বার্কশায়ার। প্রথম প্রান্তিকে ৩২০ কোটি ডলারের শেয়ার কিনেছিল প্রতিষ্ঠানটি। গত বছর ২৭০ কোটি ডলারের শেয়ার কিনেছিল বার্কশায়ার। বছর হাজার ১৬০ কোটি ডলারে বীমা কনগ্লোমারেট অ্যালিঘ্যানি কেনার একটি চুক্তি করে প্রতিষ্ঠানটি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন