যুক্তরাজ্যে ক্রেডিট কার্ডের ঋণ ১৭ বছরের সর্বোচ্চে

বণিক বার্তা ডেস্ক

জীবনযাত্রার উচ্চ ব্যয়ের মধ্যে যুক্তরাজ্যে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে চলেছে। চলতি বছরের জুনে তা রেকর্ড স্পর্শ করেছে। সম্প্রতি ব্যাংক অব ইংল্যান্ড জানিয়েছে, চলতি বছরের জুনে ক্রেডিট কার্ডে ঋণের পরিমাণ গত প্রায় ১৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হারে বেড়েছে। যুক্তরাজ্যে ক্রেডিট কার্ডে ঋণের হার বার্ষিক ১২ দশমিক শতাংশ হারে বেড়েছে। এর আগে ২০০৫ সালের নভেম্বরে এত দ্রুতগতিতে ক্রেডিট কার্ডে ঋণের হার বেড়েছিল। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ঋণ বৃদ্ধি সঞ্চয় কমানো প্রতিফলন করে যে যুক্তরাজ্যে পরিবারগুলোর ঊর্ধ্বমুখী জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। দেশটিতে পণ্যদ্রব্যের দাম গত চার দশকের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে খাদ্য জ্বালানির দাম অব্যাহতভাবে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশটির জীবনযাত্রার ব্যয়ের ওপর।

যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতির হার দশমিক শতাংশ। তবে মূল্যস্ফীতির হার পণ্যের দামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেতন বাড়ছে না। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে মে পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধির হার মাত্র দশমিক শতাংশ।

বিষয়ে ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের সহকারী অর্থনীতিবিদ নিকোলাস ফার বলেন, ঋণের পরিমাণ বাড়ার অর্থ হলো মূল্যস্ফীতির কারণে ঊর্ধ্বমুখী ব্যয় সামলাতে ক্রেডিট কার্ডের শরণাপন্ন হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের পরিবারগুলো। জুনে ব্রিটিশ পরিবারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ১৫০ কোটি পাউন্ড। অথচ মে মাসে তা ছিল ৫২০ কোটি পাউন্ড। ২০১৯ সালে মাসিক গড় বৃদ্ধি ছিল ৪৬০ কোটি পাউন্ড। এর থেকে প্রমাণিত হয় যে, ঊর্ধ্বমুখী ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে সঞ্চয়ের পরিমাণ কমাচ্ছে যুক্তরাজ্যের অধিবাসীরা।

এজে বেলের ব্যক্তিগত অর্থায়নের প্রধান কর্মকর্তা লরা সুটার বলেন, তথ্যগুলো বাস্তবতার খণ্ডচিত্র মাত্র হতে পারে। বছরের অক্টোবরে জ্বালানির দাম আরো বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। শীতকালে আমরা জ্বালানি স্বভাবতই বেশি ব্যবহার করে থাকি। ফলে অদূর ভবিষ্যতে ব্যয় আরো বাড়বে। এর মধ্যে কারো কারো এখন পর্যন্ত সঞ্চয়ের ওপর ভরসা রয়েছে। তবে অনেকেই ঋণগ্রস্ত হবেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে বাড়ি কেনার অনুমোদন নিম্নমুখী হয়েছে। এটি মূলত ভবিষ্যতে ঋণ নেয়ার একটি নির্দেশক। মে মাসে বাড়ি কেনার অনুমোদন ছিল ৬৫ হাজার ৭০০টি। জুনে তা কমে দাঁড়ায় ৬৩ হাজার ৭০০টি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন