ত্রিশালে এক বছরে ১২৯টি দুর্ঘটনায় অর্ধশত মৃত্যু

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল অংশ যেন দুর্ঘটনার হটস্পট বা মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। মহাসড়কের ত্রিশাল অংশের ২৫ কিলোমিটারজুড়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। গত এক বছরে ত্রিশাল উপজেলায় ১২৯টি দুর্ঘটনায় সাংবাদিকসহ প্রাণ গেছে প্রায় অর্ধশত মানুষের। আহত হয়েছে অসংখ্য মানুষ। 

উপজেলার ২৫ কিলোমিটার মহাসড়কের অধিকাংশ অংশ দখল করেই চলছে বালির ব্যবসা। মহাসড়কের ওপর রয়েছে হাটবাজার। বালি ওঠানো-নামানোর জন্য মহাসড়কের এখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে থাকছে ট্রাক। অবাধে চলছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা তিন চাকার যান। এছাড়াও উল্টো পথে যানবাহন চলাচল করায় ঘটছে দুর্ঘটনা।

গত ১৬ জুলাই বেপরোয়া গতির ট্রাকচাপায় নিহত হন ছয় বছরের মেয়েসহ এক দম্পতি। সময় অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর পেট ফেটে অলৌকিকভাবে জন্ম নেয় এক কন্যাশিশু। গত ১৬ জুন ইউটার্ন নেয়ার সময় ট্রাকচাপায় মারা যান ত্রিশাল প্রেস ক্লাবের সদস্য ঢাকা প্রতিদিন পত্রিকার ত্রিশাল প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান রতন। দুটি ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠলে প্রশাসন সড়ক নিয়ন্ত্রণে কিছু পদক্ষেপ নিলেও তা পুরোপুরি কার্যকর হচ্ছে না। আর মায়ের পেট ফেটে বেরিয়ে আসা শিশুটি এখন রাজধানীর ছোটমণি নিবাসে আছে। এটি ছিল টক অব দ্য কান্ট্রি।

স্থানীয় বাসিন্দা শাকিল আহমেদ বলেন, মহাসড়কের পাশে বাজার, উল্টো পথে গাড়ি চলাচল থেমে থাকা বাস, ট্রাক বেপরোয়া গতির গাড়ির কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কে কোনো তদারক নেই। তাছাড়া মানুষ সড়ক পার হওয়ার সময় অসতর্ক থাকার কারণেও দুর্ঘটনা ঘটছে।

ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিসের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের জুন থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল অংশে ১২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। আহতের সংখ্যা ৩১৭। এর মধ্যে পুরুষ ২২২, নারী ৮১ শিশু ১২। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত হয়ে যারা মারা গেছেন আরো অন্তত ২৫ জন।

ত্রিশালের ইউএনও মো. আক্তারুজ্জামান জানান, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সাতটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো এরই মধ্যে বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।  

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন