নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ রানা বাবুর ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সকালে পশ্চিম হাবিবপুর গ্রামে তার বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা তার বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় মাসুদ রানা বাবু ও তার মাকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে আহত করে তারা। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাসুদ রানার বড় ভাই মো. সানাউল্লাহ রনি বাদী হয়ে গতকাল বিকালে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ করেছেন।
সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কোরবানপুর গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মো. রাসেল মিয়ার সঙ্গে পশ্চিম হাবিবপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে সোনারগাঁ থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাবুর সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গতকাল সকালে রাসেলের নেতৃত্বে কমল হক, তাহের আলী, ইব্রাহিম, জাহিদ, সুধির, ইমরান, মাহফুজ, টিপু, রানা, লুত্ফর, সজীব, শরীফসহ অজ্ঞাত আরো চার-পাঁচজন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বাবুল বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ওই বাড়ির দুটি ঘরের দরজা-জানালা ভাংচুর করে মালপত্র লুট করে নিয়ে যায় তারা। এতে বাধা দেয়ায় বাবু ও তার মা সানোয়ারা বেগমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে হামলাকারীরা।
আহত মাসুদ রানা বাবু বলেন, রাসেল একজন র্যাব ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী এবং মাদক ব্যবসায়ী। তার শ্যালক সন্ত্রাসী গিট্টু হূদয় র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছে। গিট্টু হূদয় মারা যাওয়ার পর কিছুদিন গা-ঢাকা দিলেও বর্তমানে সে এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আমি মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলার কারণে সে আমার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই জের ধরে গতকাল সে তার বাহিনী নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট করে।
অভিযুক্ত মো. রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। অন্য কেউ এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, হামলা-ভাংচুরের ঘটনায় অভিযোগ নেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।