জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম জীবদ্দশায় বহু কবিতা, গান, গল্প আর উপন্যাস লিখেছেন। ‘বনের পাপিয়া’
নামে একটি ছোট গল্পও লিখেছিলেন তিনি, যেটি পরে কাজী নজরুল ইসলামের গল্পগ্রন্থ শিউলি মালা গল্প রচনায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গল্পটি থেকে বাংলাদেশে নানা সময়ে নাটক নির্মিত হয়েছে। ২৯ আগস্ট কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রযোজনায় ১০ আগস্ট থেকে নির্মিত হতে যাচ্ছে বিশেষ নাটক ‘বনের পাপিয়া’। নাটকটির নাট্যরূপ দিয়েছেন গুণী অভিনেতা খায়রুল আলম সবুজ। এ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র রমলা। রমলা চরিত্রেই অভিনয় করবেন ফারহানা মিলি।
মি. মিত্র ফরিদপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। এক বছর হলো রমলার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। আর এক বছরে মি. মিত্র রমলাকে যতটা চিনেছে, তার চেয়ে অচেনা অংশই যেন বেশি। ভীষণ অভিমানী, একরোখা স্বভাবের মেয়ে রমলা। মি. মিত্র যেন স্ত্রীকে ভয় করেই চলেন। কেননা রমলা শ্বশুরবাড়িতে আসার সময় প্রচুর অর্থ, সম্পত্তি নিয়ে এসেছে। এমনকি চাকরিটাও রমলার বাবার দেয়া। রমলাকে তিনি তার আপন ভুবনে থাকতে বাধা দেন না। কিন্তু মাঝে মাঝে বিরক্তিও যে লাগে না তা নয়, এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই কিঞ্চিত মনোমালিন্য হয়। এগিয়ে যায় গল্প।
এ নিয়ে ফারহানা মিলি বলেন, ‘আমার কাছে শ্রদ্ধেয় খায়রুল আলম সবুজ আঙ্কেলের নাট্যরূপ দেয়া বনের পাপিয়া নাটকের স্ক্রিপ্ট এসেছে। সংলাপ যথেষ্ট সুন্দর এবং কঠিনও বৈকি। আমি বেশ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি এ নাটকে রমলা চরিত্রে নিজেকে যথাযথভাবে উপস্থাপনের জন্য। চরিত্র অনুযায়ী পোশাক কেমন হতে পারে তারও প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে। সত্যি বলতে কী এ ধরনের চরিত্রে অভিনয় করার পূর্বপ্রস্তুতিটাও ভীষণ জরুরি। এর আগেও যেহেতু এ চরিত্রে আমাদের দেশের বেশ কয়েকজন গুণী অভিনেত্রী অভিনয় করেছেন, তাই এটাও আমার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ বলা যেতে পারে। তবে আমার চেষ্টার ত্রুটি থাকবে না।’