ইউরো অঞ্চলে খুচরা বিক্রিতে আশঙ্কার চেয়ে বেশি পতন

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্বের মোট ১৯টি দেশে ইউরো মুদ্রা ব্যবহার করা হয়। চলতি বছরের জুনে অঞ্চলের খুচরা বিক্রি নিম্নমুখী রয়ে গিয়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অঞ্চলটিতে কারখানায় পণ্যদ্রব্যের দাম অব্যাহতভাবে ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, অচিরেই ইউরো অঞ্চলে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিতে পারে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পরিসংখ্যান অফিস ইউরোস্ট্যাট জানিয়েছে, ইউরো অঞ্চলে খুচরা বিক্রি কমেছে। চলতি বছরের জুনে ওই অঞ্চলে খুচরা বিক্রি মে মাসের তুলনায় দশমিক শতাংশ কমেছে। পাশাপাশি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমার হার দশমিক শতাংশ। রয়টার্সের এক সমীক্ষায় অর্থনীতিবিদরা খুচরা বিক্রি আগের মাসের তুলনায় অপরিবর্তিত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। যদিও বিক্রি বার্ষিক দশমিক শতাংশ কমবে বলে জানানো হয়।

চলতি বছরের জুলাইয়ে ব্যবসা কার্যক্রম সংকুচিত হয় ইউরো অঞ্চলে। এর জন্য ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিকে দায়ী করা হচ্ছে। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর আক্রমণের জের ধরে ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববাজারে বেড়েছে পণ্যদ্রব্যের দাম। ফলে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ইউরো অঞ্চলের নাগরিকদের জন্য। এক বিবৃতিতে অক্সফোর্ড ইকোনমিকস জানায়, আগামী ১২ মাসের মধ্যে ইউরো অঞ্চলে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা রয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।

ইউরোস্ট্যাট জানায়, ইউরো অঞ্চলে খুচরা বিক্রি কমেছে। মে মাসের তুলনায় জুনে উৎপাদকদের পণ্যদ্রব্যের দাম দশমিক শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় জুনে বৃদ্ধির হার ছিল ৩৫ দশমিক শতাংশ ছিল।

যদিও চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইউরো অঞ্চলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটাই হতে পারে বছরের জন্য শেষ সুখবর। কেননা বছরের দ্বিতীয়ার্ধে অঞ্চলটিতে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষয়ে ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ মাইকেল ট্র্যান বলেন, জুনে খুচরা বিক্রি কমার অর্থ হলো ইউরো অঞ্চলে দ্বিতীয় প্রান্তিকে সার্বিক খুচরা বিক্রি সংকুচিত হয়েছে। এদিকে চূড়ান্ত ক্রয় ব্যবস্থাপনা সূচক (পিএমআই) সমীক্ষায় দেখা যায় পণ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধির চাপ অব্যাহত থাকবে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চাহিদায় ভাটা পড়বে। আমাদের ধারণা, সামনের মাসগুলোয় উচ্চ ব্যয় নিয়ে হিমশিম খাবে ইউরো অঞ্চলের পরিবারগুলো।

এদিকে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত বিশ্ববাজারে জ্বালানি সংকট তৈরি করেছে। বছরের জুনে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। এছাড়া উৎপাদকদের পণ্যের দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক শতাংশ বেশি ছিল। এতে করে ভোক্তা ব্যয় প্রভাবিত হবে।

বিষয়ে ইউরোস্ট্যাট জানায়, গাড়ির জ্বালানি বাদে খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের খুচরা চাহিদা অব্যাহতভাবে নিম্নমুখী থাকবে। বিশেষ করে পত্রে ইন্টারনেটে ক্রয়াদেশ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক শতাংশ কমবে।

ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতি জার্মানি। দেশটিতে ইউরো মুদ্রার চল রয়েছে। জার্মানিতে খুচরা বিক্রি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক শতাংশ কমেছে। একইভাবে খুচরা বিক্রি কমেছে ইউরোপের তৃতীয় অর্থনীতি ইতালিতেও। দেশটিতে খুচরা বিক্রি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক শতাংশ কমেছে। যদিও দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ফ্রান্সে খুচরা বিক্রি এক বছরে শূন্য দশমিক শতাংশ বেড়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন