চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ওয়াল স্ট্রিটের পূর্বাভাসের চেয়েও বেশি কভিড-১৯ টিকা বিক্রি করেছে মডার্না। ফ্যাক্টসেটের জরিপে বিশ্লেষকরা প্রত্যাশা করেছিলেন এ সময়ে ৩৬০ কোটি ডলারের টিকা বিক্রি হবে। তবে সংস্থাটির স্পাইকভ্যাক টিকা বিক্রি ৪৫৩ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। খবর এপি।
শক্তিশালী আয়ের পর মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাটি নিজেদের ৩০০ কোটি ডলারের শেয়ার পুনঃক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছে। এ খবরের পর সংস্থাটির শেয়ারদর বেড়ে গিয়েছে।
তবে বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের চেয়ে মডার্নার টিকা বিক্রি নিম্নমুখী হয়েছে। বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে করোনার প্রকোপ বাড়ায় সুরক্ষা ব্যবস্থার ওপর চাপ পড়ে। তখন প্রায় ৬০০ কোটি ডলারের টিকা বিক্রি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বছর শেষে বিক্রি আবারো বাড়তে পারে। এরই মধ্যে বছরের শেষ প্রান্তিকের বুস্টার ক্যাম্পেইনের জন্য টিকার নতুন একটি সংস্করণ তৈরি করেছে মডার্না। মূল টিকাকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মতো পরিমার্জিত করেছে।
প্রতিষ্ঠানটি গত সপ্তাহে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে ৬ কোটি ৬০ লাখ ডোজ বুস্টার ক্রয়ের চুক্তিতে পৌঁছেছে। এ চুক্তির মূল্য ১৭৬ কোটি ডলার। এ চুক্তিতে পরবর্তী সময়ে আরো ২৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা কেনার সম্ভাবনা রয়েছে।
মডার্নার রাজস্বের প্রধান উৎস হলো কভিড-১৯ টিকা। এর বাইরে অনুদান ও সহযোগিতা থেকে কিছু অর্থ আসে। মোট রাজস্ব দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ৯ শতাংশ বেড়ে ৪৭৫ বিলিয়ন হয়েছে।
কিন্তু পরিচালন খরচ বেশ ফুলেফেঁপে উঠেছে। সংস্থাটির এ ব্যয় ৭৮ শতাংশ বেড়ে ২৩০ কোটি ডলারে ঠেকেছে। যেখানে রয়েছে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ও গবেষণার বিশাল খরচ। মডার্না জানায়, মজুদ থাকা প্রায় ৫০ কোটি ডলার মূল্যের টিকা নষ্ট হবে। কোভ্যাক্স টিকা প্রোগ্রামের গতি স্তিমিত হওয়ার বিষয়টি টিকা বিক্রিতে প্রভাব ফেলেছে।
সামগ্রিকভাবে, দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে মডার্নার মুনাফা ২১ শতাংশ কমে ২২০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। শেয়ারপ্রতি এ মুনাফার পরিমাণ ৫ ডলার ২৪ সেন্ট। ফ্যাক্টসেট অনুসারে, বিশ্লেষকরা ৪১০ কোটি ডলার রাজস্বের পাশাপাশি শেয়ারপ্রতি ৪ ডলার ৫৮ সেন্ট মুনাফার পূর্বাভাস দিয়েছিল।
বুধবার মডার্না জানায়, শোয়ারহোল্ডারদের মূলধন ফেরত দিতে অতিরিক্ত ৩০০ কোটি ডলারের শেয়ার পুনঃক্রয় কর্মসূচি অনুমোদন দিয়েছে বোর্ড। গত বছরের শেষ প্রান্তিক থেকে প্রতিষ্ঠানটি ১ কোটি ৬০ লাখ শেয়ার পুনঃক্রয় করেছে। এরপর ফেব্রুয়ারিতে আরো ৩০০ কোটি ডলারের শেয়ার পুনঃক্রয়ের ঘোষণা দেয়, এর মধ্যে এখনো ১০০ কোটি ডলারের ক্রয় বাকি আছে।
