আর্থিক কেলেঙ্কারি ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় চিড় ধরিয়েছে। পরিচালনা পর্ষদ থেকে শুরু করে ব্যবস্থাপনা স্তরের নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ কেউ ব্যাংকে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি দেখাতে পারেনি। তাই সদ্য দায়িত্ব নেয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কঠোর হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। এরই মধ্যে ১০টি দুর্বল ব্যাংক চিহ্নিতপূর্বক সেগুলো সংস্কারে ব্যবস্থা এবং ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরে কার্যকর সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণের কথা বলেছেন তিনি। দেশের অর্থনীতি অতিমাত্রায় ব্যাংকনির্ভর। ফলে এ খাতে কোনো ধরনের ধসের সৃষ্টি হলে তা পুরো অর্থনীতিকে গ্রাস করার শঙ্কা রয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশ ব্যাংককে আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কঠোর ব্যবস্থা নিতেই হবে।
দেশের ব্যাংক খাত দীর্ঘদিন ধরেই নানা সমস্যায় জর্জরিত। প্রথম সমস্যা, সুশাসনের অভাব। দ্বিতীয় সমস্যা, এ খাতের জন্য প্রণীত নীতিমালা ও আইনকানুন, কোম্পানি আইন, আন্তর্জাতিক নীতিমালা ইত্যাদি সঠিকভাবে পরিপালন না করা। নিয়ম-কানুন আন্তর্জাতিক মানের, কিন্তু এগুলো সঠিকভাবে অনুসৃত হচ্ছে না। ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় সরকারি-বেসরকারি দায়িত্ব বিবেচনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সংজ্ঞায় স্বচ্ছতা হলো এমন এক পরিবেশ সৃষ্টি, যেখানে মুদ্রা ও আর্থিক নীতি-সম্পর্কিত সব তথ্য সময় সময় জনগণকে বোধগম্য উপায়ে জানানো। সামষ্টিক অর্থনীতিতে টেকসই সুশাসন ও সার্বিক আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় সরকারি কার্য পরিচালনায় স্বচ্ছতা বিধান এর পূর্বশর্ত। জবাবদিহি হলো পারস্পরিক চুক্তির ভিত্তিতে বিদ্যমান সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারি বা বেসরকারি কোনো এজেন্ট কর্তৃক সুলভে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান। আর্থিক বাজারে অংশগ্রহণকারী প্রধান গোষ্ঠী ঋণদাতা-ঋণগ্রহীতা, ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী, জাতীয় কর্তৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান সবার জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করতে স্বচ্ছতা প্রয়োজন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতির যথার্থ উদাহরণ হচ্ছে ব্যাংকে সংঘটিত হলমার্ক, বিসমিল্লাহ ও বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারি। সেখানে ঋণগ্রহীতা ও কর্মকর্তারা গোপন সমঝোতার মাধ্যমে অস্বচ্ছ উপায়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিলেন। সে ঘটনায় যাদের অভিযুক্ত করা হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রশাসনিক ও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এর মধ্য দিয়ে তারা ‘প্রণোদনা’ পেয়েছেন ও একই ব্যাংক এবং অন্যত্র যেসব সৎ কর্মকর্তা কাজ করেন, তাদের অবহেলা করে পেছনে ঠেলে দেয়া হয়েছে। এ যেন মন্দ অর্থ ভালো অর্থকে বিতাড়িত করা। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোয় এ সমস্যা সবচেয়ে প্রকট। বেসরকারি ব্যাংকগুলোও এর বাইরে নয়। পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সার্বিক নির্দেশনা দেবে, নীতিগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে আর ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা নীতিমালা বাস্তবায়ন করবেন, এটাই নিয়ম। পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যাংক ব্যবস্থাপনার কার্যপরিধি আইন দিয়ে নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু প্রায়ই অভিযোগ পাওয়া যায়, পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক ব্যবস্থাপনার কাজে হস্তক্ষেপ করছে। ফলে ব্যাংক ব্যবস্থাপকদের পক্ষে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ কমে যাচ্ছে। এটা কোনোভাবেই ব্যাংক খাতের জন্য মঙ্গলজনক নয়। অবশ্য ব্যাংক ব্যবস্থাপনাও যে সব সময় দক্ষ হয়, তা নয়। অনেক সময় ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা ও ত্রুটির কারণেও সমস্যা সৃষ্টি হয়। এসব কারণে ব্যাংক খাতে দুর্নীতি দেখা দিচ্ছে, জবাবদিহির ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মধ্যে পরস্পরকে দোষারোপ করার প্রবণতা দেখা যায়। ফলে জবাবদিহির বিষয়টি গৌণ হয়ে পড়ে। ব্যাংক খাতে নজরদারি ও তদারকিও খুব দুর্বল। যারা পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বা পরিচালক হয়ে আসেন, তাদের নিজস্ব ব্যবসা-বাণিজ্য থাকে। তারা আত্মীয়-স্বজনের ব্যবসা-বাণিজ্যে সুবিধা দেয়ার জন্যও ব্যাংক ম্যানেজমেন্টকে চাপ দেন। নিজের লোকদের ঋণ বা চাকরি দেয়ার জন্য তারা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর প্রভাব খাটান। এমন প্রবণতা বন্ধ করতে হবে।
উন্নত দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে বর্তমানে আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। তাহলে প্রশ্ন উঠতে পারে, ওই সব দেশে কি ব্যাংকিং কেলেঙ্কারি হয় না? অবশ্যই হয় এবং বিশ্বের বৃহৎ কেলেঙ্কারিগুলো উন্নত দেশেই সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু মূল বিষয় হলো, প্রতিটি ঘটনা ধরা পড়েছে এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভারতের একটি উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। দেশটির ইয়েস ব্যাংক কেলেঙ্কারির কথা কম-বেশি সবার জানা। ব্যাংকটি দ্রুত উত্থান ঘটাতে গিয়ে আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে বিভিন্ন ঋণ প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করে। যেসব বড় কোম্পানিকে তাদের দুর্বলতার কারণে অন্য ব্যাংক ঋণ দিতে অস্বীকার করত, ইয়েস ব্যাংক প্রতিযোগিতা এড়াতে সেসব গ্রাহককেই ঋণ দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগই পরবর্তী সময়ে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি প্রমাণিত হয়। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যদিও এ সময়ে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যতিক্রম। ব্যাংকগুলো একের পর এক ঋণ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়লেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে অনিয়ম বেড়ে উঠছে।
ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ও গতিশীলতা ফিরিয়ে আনার স্বার্থে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হবে এবং নতুন খেলাপি ঋণ সৃষ্টির পথ বন্ধ করতে হবে। ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে তা যথাযথ পর্যালোচনা করতে হবে। প্রদত্ত ঋণকে যথাযথ তদারক করতে হবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংককে প্রয়োজনীয় আইন, গাইডলাইন এবং নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। ব্যাংক খাতের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের সুপারভিশন, গাইডেন্স এবং তদারকি বাড়াতে হবে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকেও দক্ষ জনবল নিয়োগ দিতে হবে এবং ব্যাংক সেক্টরের উন্নয়নের স্বার্থেই বাংলাদেশ ব্যাংককে শক্তিশালী করতে হবে। অধিকন্তু অর্থঋণ আদালতসহ আইনি প্রক্রিয়াকে আরো উন্নত এবং সংস্কার করতে হবে, যাতে আইনের সাহায্য নিয়ে খেলাপি ঋণ আদায় করা যায় এবং ঋণখেলাপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়। তাছাড়া গ্রাহককে যেনতেন প্রকারে ঋণ প্রদান করে মুনাফা অর্জনের টার্গেট ব্যাংকগুলোকে পরিহার করতেই হবে। মুনাফা অর্জনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা ব্যাংক সেক্টরকে বিশাল ক্ষতির মুখোমুখি করেছে। ব্যাংকগুলোকে তাদের ঋণ নীতিমালা পুনর্বিন্যাস করতে হবে এবং ঋণকে বিভিন্ন সেক্টরে বণ্টন করতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ যে পর্যায়ে আছে, তা চিন্তাকে অতিক্রম করে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু পদক্ষেপ সর্বসাম্প্রতিককালে নেয়া হয়েছে—সংজ্ঞা পরিবর্তন করা হচ্ছে, ঋণের সুদহার হ্রাসের চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু মূল সময়গুলো অধরাই রয়ে গিয়েছে। অন্তর্নিহিত দুর্বলতাগুলো থেকে যাচ্ছে। কারণ প্রকৃত কার্যকারণ চিহ্নিত করা হচ্ছে না। করদাতাদের টাকা দিয়ে সরকারি ব্যাংকগুলোর পুনঃপুঁজীকরণ করতে হচ্ছে। কিন্তু ব্যাংক খাতে আস্থা আনার জন্য যে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন এবং খেলাপি ঋণ আদায়ে যে সক্রিয়তা প্রয়োজন, তার ঘাটতি রয়েছে। ফলে ঋণের ওপর সুদের হার হ্রাস করার যেসব উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে, তা কার্যকর হচ্ছে না। সঞ্চয়ের ওপর সুদের হার এবং ঋণের হারের ওপর সুদের হারের মধ্যে পার্থক্য (স্প্রেড রেট) কমানো যাচ্ছে না। দুঃখের বিষয়, যে ধরনের সুদৃঢ় পদক্ষেপ এবং জিরো টলারেন্স নিয়ে খেলাপি ঋণের বিষয়টিকে মোকাবেলা করা উচিত, সে ধরনের উদ্যম ও উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। বরং কিছু পদক্ষেপ, যেমন একই পরিবার থেকে পরিচালক নিয়োগের সংখ্যা ও মেয়াদকাল, খেলাপি ঋণের পুনর্গঠন ও পুনর্বিন্যাসের নামে বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং রেয়াত ইত্যাদি ব্যাংক খাতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার নিরিখে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ঋণখেলাপির কার্যকারণ নির্দিষ্ট করে খেলাপিদের ভাগ করা, কারা বিভিন্ন সুবিধা নিয়েও ঋণখেলাপি থেকে যাওয়াকেই ভালো ‘বিজনেস মডেল’ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন, তাদের চিহ্নিত করা, আইনের সংস্কার ও প্রয়োগ এসব বিষয়ে কোনো উদ্যম দেখা যাচ্ছে না। এর বিপরীতে বরং বড় ও ধারাবাহিক ঋণখেলাপিরা বিভিন্ন প্রণোদনা পাচ্ছেন। ফলে যারা ভালো ঋণ গ্রাহক, তাদের জন্য এক ধরনের নৈতিক বিপত্তি (মোরাল হেজার্ড) সৃষ্টি হচ্ছে। এমন প্রবণতা সুষ্ঠু আর্থিক পরিবেশ গড়ে তোলার পেছনে বড় প্রতিবন্ধক।
আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ও সুশাসন শক্তিশালী করতে হলে বিদ্যমান আইনের সংস্কার প্রয়োজন এবং তার যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। বর্তমানে কিছু উদ্যোগের কথা শোনা যাচ্ছে। যেমন ঋণ পুনরুদ্ধার কোম্পানি গঠন করে খেলাপি ঋণ আদায়ের চেষ্টা। এসব উদ্যোগ তখনই সফল হবে, যখন ঋণখেলাপিরা দেখবে যে আইনের প্রয়োগ হচ্ছে এবং কাউকেই অব্যাহতি দেয়া হচ্ছে না। প্রয়োজনে ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা হোক। প্রস্তাবিত কমিশনের ম্যান্ডেট হতে পারে নিম্নের বিষয়গুলোর ওপর সুচিন্তিত বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা ও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ চিহ্নিত করা—খেলাপি ঋণসহ অন্যান্য সমস্যার মূল চিহ্নিতকরণ; আইনি কাঠামোর সংস্কার; কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনভাবে কাজ করার নিশ্চয়তা বিধান; ব্যাংক বোর্ড গঠনের জন্য নীতিমালা; আইন প্রয়োগে সমস্যার চিহ্নিতকরণ এবং আইনের পরিবর্তন। কমিশন ব্যাংক খাতের দক্ষ, যুগোপযোগী ও সুশাসনভিত্তিক পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ দেবে। সরকারকে সেসব পরামর্শ বাস্তবায়নে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে হবে। আর্থিক খাতের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে এ ধরনের উদ্যোগ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় যেসব উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলেছেন, তাতে সবাই আশ্বস্ত হবেন। তবে এসব উদ্যোগের সাফল্য নির্ভর করছে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর। এর আগেও সাবেক গভর্নর ও সাবেক অর্থমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নানা প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে তার কোনো কিছুই বাস্তবায়ন করা হয়নি। বিভিন্ন গোষ্ঠীর চাপে সংস্কার থেকে সরে এসে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যার ফলে আজ ব্যাংক খাত মারাত্মক ঝুঁকির মুখে। এখান থেকে উত্তরণ প্রয়োজন। কারণ দেশের অর্থনীতি ব্যাংক খাতের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এতে কোনো ধরনের ধসের সৃষ্টি হলে তা পুরো অর্থনীতিকে ঝুঁকির মুখে ফেলবে, যা কোনো অবস্থাতেই কাম্য নয়। প্রত্যাশা থাকবে, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের বক্তব্য শুধু কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, আর্থিক খাতে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বাংলাদেশে আইন-কানুন-নিয়মের কোনো কমতি নেই। সংকট শুধু আইনের প্রয়োগ নিয়ে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর হতে হবে। কোনো ব্যাংক নিয়মের ব্যত্যয় ঘটালে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ থেকে শুরু করে ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসলে যথাযথ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণে কার্পণ্য করা যাবে না।