কৃষ্ণ সাগরে শস্য রফতানি চুক্তি সম্প্রসারণের আহ্বান ইউক্রেনের

বণিক বার্তা ডেস্ক

লেবাননগামী রাজোনির পর গতকাল তিনটি পণ্যবাহী জাহাজ ইউক্রেন ছেড়েছে ছবি: রয়টার্স

শস্য রফতানিতে কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার অবরোধ শিথিলের সিদ্ধান্তকে আরো পণ্যের ক্ষেত্রে বিস্তৃত করার আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন। চুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে যেন বিভিন্ন ধাতব পণ্য রফতানির সুযোগ পায় সে দাবি তুলেছে কিয়েভ। ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে।

ইউক্রেনের ট্রেড নেগোশিয়েটর ডেপুটি ইকোনমি মিনিস্টার তারাস কাচকা আশাবাদী, দুই দেশের চুক্তির ফলে যে শস্য চালান শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে। এটি অন্যান্য পণ্যের জন্যও একটি উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে। ব্যবসায়ী রফতানিকারকরা চ্যালেঞ্জ নিয়েই পণ্য সরবরাহ সচল রাখতে চাচ্ছেন।

ইউক্রেনে রাশিয়া পুরোপুরি আগ্রাসন শুরু করার পরে শস্য পরিবহনকারী জাহাজ রাজোনি ওদেশায় আটকে পড়ার পরই বিষয়ে কথা বললেন কাচকা। নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার পরে সমুদ্রে থাকা রাশিয়া ইউক্রেনীয় মাইনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যায় রাজোনি, সেই সঙ্গে তুরস্কে পরিদর্শনও সম্পন্ন করে।

এক ডজনেরও বেশি শস্য বহনকারী জাহাজ বর্তমানে ইউক্রেনের বন্দর থেকে যাত্রার অপেক্ষা করছে। যেখানে আরো একটি জাহাজ বর্তমানে ইউক্রেনের বন্দর চরনোমরস্কের দিকে যাত্রা করছে।

জাতিসংঘ তুরস্কের মধ্যস্থতায় করা চুক্তিতে খাদ্য সার বহনকারী কোনো জাহাজে আক্রমণ না চালাতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া। চুক্তির অধীনে ইউক্রেন, রাশিয়া, তুরস্ক জাতিসংঘের কর্মকর্তারা একত্রে বসফরাস প্রণালিতে জাহাজগুলোয় পরিদর্শন চালাচ্ছে।

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গম রফতানিকারক দেশের নাম ইউক্রেন। লেবানন, সিরিয়া সোমালিয়ার মতো কিছু ঝুঁকিতে থাকা দেশ তাদের গম রফতানির বড় অংশের জন্য ইউক্রেনের ওপর নির্ভরশীল।

কৃষ্ণ সাগরের বাণিজ্য পথের অস্থায়ী পুনরুদ্ধার কিছুটা আশার আলো জাগিয়েছে, ইউক্রেনে আটকে থাকা দুই কোটি টন গম, ভুট্টা অন্যান্য শস্য এখন বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে যেতে পারবে এবং ইউক্রেনীয় কৃষকদের আগামী শীতের রোপণ মৌসুমের আগে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অর্জনে সাহায্য করবে।

তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সিনিয়র পরামর্শক মিখাইলো পদোলইয়াক বলেন, হয়তো চুক্তি কিছু সময় রাখা হবে, ঠিক যতক্ষণ সেটা রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করে যাবে।

তিনি যোগ করেন, রাশিয়াও ইউক্রেন থেকে কিছু শস্য আমদানি করতে ইচ্ছুক। আমার মনে হয়, রাশিয়া আবার এগুলো বন্ধ করে দিতে পথ বের করবে। একই সঙ্গে ধরনের আশাবাদী হতাশাবাদী কথা আমরা ভাবছি।

চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, এটা কোনো এককালীন প্রক্রিয়া নয়। প্রক্রিয়া নেয়া হয়েছে বন্দরে পড়ে থাকা বিভিন্ন শস্য নির্ধারিত গন্তব্যে পাঠানোর জন্য। আশা করি, প্রক্রিয়া কার্যকরভাবে সচল থাকবে।

গত মাসে সড়ক, রেল নদীপথে ৩০ লাখ টন শস্য রফতানি করতে সক্ষম হয়েছে ইউক্রেন। চলতি বছরে ইউক্রেনে কোটি ৭০ লাখ টন শস্য উৎপাদিত হতে পারে, যা ২০২১ সালের রেকর্ড কোটি ৬০ লাখ টন থেকে অনেক কম।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন