সুদের হার সর্বোচ্চ বাড়াতে পারে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড

বণিক বার্তা ডেস্ক

ভূরাজনৈতিক সংকট, কভিড-১৯ মহামারী সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। লাফিয়ে বেড়ে চলেছে মূল্যস্ফীতির হার। অনিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতির হার মোকাবেলা করতে সুদহার বাড়িয়ে চলেছে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সুদহার সর্বোচ্চ বাড়াতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।

মূল্যস্ফীতির প্রভাবের কারণে যুক্তরাজ্যে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা জন্মেছে। অধিকাংশ বিনিয়োগকারী অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস বলছে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের  বেঞ্চমার্ক সুদের হার দশমিক শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে দশমিক ৭৫ শতাংশে উন্নীত হবে। পূর্বাভাস সত্যি হলে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদহার ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চে পৌঁছবে।

যুক্তরাজ্যের অনিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতির হার এরই মধ্যে ব্রিটিশদের জীবনযাত্রায় ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। বর্তমানে দেশটির মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে দশমিক শতাংশে। রেজল্যুশন ফাউন্ডেশনের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের শুরুতে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার ১৫ শতাংশে পৌঁছনোর আশঙ্কা রয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বর থেকে পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পাঁচবার ঋণের ব্যয় বাড়িয়েছে। চলতি বছরের জুনে এক ঘোষণায় ব্যাংক অব ইংল্যান্ড জানায়, ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতির হারের প্রভাব বিরাজমান থাকলে ভবিষ্যতে আরো পদক্ষেপ নেয়া হবে। সে সময় থেকে উচ্চমূল্যস্ফীতির হার সম্পর্কে ংশয় কিছুটা কমে এসেছিল। পণ্যদ্রব্যের দামও কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসে।

তবে বিপত্তি বাঁধে ফেডারেল রিজার্ভ সুদহার বাড়ানোর পর। মুদ্রার বাজারে কমতে থাকে পাউন্ডের দর। সম্প্রতি রয়টার্সের এক সমীক্ষায় বলা হয়, ৬৫ জন অর্থনীতিবিদদের মধ্যে ৭০ শতাংশই আশঙ্কা করছেন বেঞ্চমার্ক অর্ধেক পয়েন্ট বাড়বে।

এদিকে যুক্তরাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে এগিয়ে আছেন লিজ ট্রাস। নির্বাচিত হলে তিনি হবেন দেশটির তৃতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মূল্যস্ফীতি মোকাবেলার জন্য পদক্ষেপের বিষয়ে প্রশ্ন রেখেছেন লিজ ট্রাস। মুদ্রানীতির জন্য একটি স্পষ্ট নির্দেশনা নির্ধারণ করারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

রাশিয়া ইউক্রেনের সংঘাতের কারণে এবং মহামারীর বিপর্যস্ততায় বিশ্ববাজারে খাদ্য জ্বালানির দাম অব্যাহতভাবে ঊর্ধ্বমুখী। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ জানায়, শিগগিরই একটি মন্দার আসার আশঙ্কা রয়েছে। শীতকালও আসছে সামনে। বাড়ি উষ্ণ রাখতে জ্বালানির ব্যবহার বেড়ে যাবে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে লাখ লাখ ব্রিটিশ নাগরিককে ঘর ঊষ্ণ রাখা খাদ্য জোগানোর মধ্যে যেকোনো একটিকে বেছে নিতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন