বাচ্চু ভাই তার বাসা থেকে গিটার নিয়ে যেতে বলেন

সৈয়দ মেহরাজ কবির

আইয়ুব বাচ্চু

শিল্পীর শারীরিক মৃত্যু ঘটলেও বেঁচে থাকে তার শিল্প। ভক্তদের ভালোবাসার আর্দ্রতাই তাকে বাঁচিয়ে রাখে মানুষের মাঝে। গিটারের জাদুকর আইয়ুব বাচ্চুর ক্ষেত্রেও সে কথাই খাটে। বাংলাদেশের কিংবদন্তি গিটারিস্ট আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যুর প্রায় চার বছর গড়াতে চলল। তবু এখনো তিনি প্রাসঙ্গিক সমাদৃত ভক্তদের কাছে। বাংলাদেশের আরেক প্রখ্যাত গিটারিস্ট, ওয়ারফেজ ব্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ইব্রাহিম আহমেদ কমলও ভীষণ অনুরাগী তার। পডকাস্ট উইথ কে রাহুল চ্যাট শোয় বাচ্চুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন কমল।

ট্রেনরেকের গিটারিস্ট পরাহর ড্রামার কে রাহুল বর্তমান ব্যান্ড জগতের পরিচিত নাম। গানের পাশাপাশি ইউটিউবে পডকাস্ট উইথ কে রাহুল নামে একটি চ্যাট শো পরিচালনা করেন তিনি। অনুষ্ঠানটির দ্বিতীয় মৌসুমের সপ্তম পর্বে আমন্ত্রিত হয়ে আসেন ইব্রাহিম আহমেদ কমল। আলাপচারিতা মোড় ঘুরে আইয়ুব বাচ্চুর প্রসঙ্গে ফেরে। কেমন ছিল দুই গিটারিস্টের মধ্যকার সম্পর্ক? এমন প্রশ্নের উত্তরে ইব্রাহিম আহমেদ কমল উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন। তিনি বলেন, গিটারিস্টদের ফ্রন্টম্যান হতে হলে কী করতে হবে সে পথ দেখিয়ে গেছেন আইয়ুব বাচ্চু। তিনি আমার জন্য ব্যক্তিগতভাবে এক বিরাট অনুপ্রেরণা। বাংলাদেশে যতজন গিটারিস্ট ছিলেন, ওনার পর্যায়ে কেউ পৌঁছতে পারেনি। ওনার মতো আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বও কারো ছিল না। ঘণ্টা ২৪ মিনিটের দীর্ঘ সাক্ষাত্কারে তিনি আইয়ুব বাচ্চুকে তিনবার গ্র্যামিজয়ী মার্কিন গিটারিস্ট স্টিভ ভাইয়ের সঙ্গে তুলনা করেন। কমল বলেন, বাচ্চু ভাইয়ের মতো ক্যারিয়ার এমনকি স্টিভ ভাইয়েরও ছিল না।

নব্বইয়ের দশকে ইব্রাহিম আহমেদ কমলকে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ গিটারিস্ট বলে ঘোষণা দেন আইয়ুব বাচ্চু। তখন সবে কয়েক বছর হয়েছে কমল বন্ধুদের নিয়ে ওয়ারফেজ ব্যান্ডটি গড়ে তুলেছিলেন। এমন সময় কিংবদন্তির থেকে রকম স্বীকৃতি মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছিল কমলের। সাক্ষাত্কারে কমল বলেন, বাচ্চু ভাই আমার প্রতি খুবই সদয় ছিলেন। ওয়ারফেজের প্রথম রেকর্ডিংয়ের সময় আমার কোনো গিটার ছিল না। আমি তাকে ফোন দিয়ে জানালাম সেটা। তিনি তত্ক্ষণাৎ বললেন তার বাড়ি গিয়ে গিটার নিয়ে যেতে। তিনি সবসময়ই প্রেরণার উৎস ছিলেন। আমরা একসঙ্গে অনেক সময় কাটিয়েছি। এলআরবির বিবর্তন আমি প্রত্যক্ষ করেছি। অনেকেই কমল বনাম বাচ্চু ভাই গুঞ্জন তোলে। অথচ আমার সঙ্গে তার কখনই কোনো সমস্যা ছিল না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন