দিনভর পুঁজিবাজারে অস্থিরতা

নয় কার্যদিবস পর সূচকে উত্থান

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদুল আজহার ছুটির পর থেকেই টানা নয় কার্যদিবস ধরে দরপতন হচ্ছে দেশের পুঁজিবাজারে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকালও লেনদেন শুরুর পর বড় দরপতন ঘটে। একপর্যায়ে হাজার পয়েন্টের মনস্তাত্ত্বিক সীমার নিচে নেমে যায় সূচক। অবশ্য দিনের দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে পুঁজিবাজার। শেষ পর্যন্ত সূচকের পাশাপাশি গতকাল পুঁজিবাজারে দৈনিক লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, টানা পতনে শেয়ারের দাম কমে যাওয়ার কারণে সুযোগসন্ধানী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার কেনার প্রবণতা দেখা গেছে। তবে বিদ্যুৎ সংকট, মুদ্রাস্ফীতির চাপ, টাকার অবমূল্যায়ন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়ার মতো বিষয়গুলো নিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এখনো শঙ্কা রয়ে গেছে। কারণে গতকাল লেনদেনের শুরুতে বিক্রয়চাপ দেখা গেছে। তবে দিনের দ্বিতীয়ার্ধে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তায় শেষ পর্যন্ত উত্থানে ফিরেছে পুঁজিবাজার।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল লেনদেন শুরুর পর থেকেই শেয়ার বিক্রির চাপে পয়েন্ট হারাতে শুরু করে সূচক। একপর্যায়ে হাজার ৯৮৫ পয়েন্টে নেমে যায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স। বেলা দেড়টা পর্যন্ত আগের দিনের তুলনায় পিছিয়ে ছিল সূচকটি। অবশ্য শেষ ঘণ্টার ক্রয়চাপের কারণে শেষ পর্যন্ত দিনশেষে ৩০ পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৮৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে ডিএসইএক্স। এর আগের কার্যদিবস শেষে যা ছিল হাজার ৫২ পয়েন্টে। অন্য সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসইর ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ গতকাল পয়েন্ট বেড়ে হাজার ১৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর আগের দিন শেষে যা ছিল হাজার ১৬৮ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল দিন শেষে পয়েন্ট বেড়ে হাজার ৩৩২ পয়েন্টে অবস্থান করছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল হাজার ৩২৮ পয়েন্টে। গতকাল সূচকের উত্থানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা ছিল বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্র্যাক ব্যাংক মতিন স্পিনিংয়ের শেয়ারের।

ডিএসইতে গতকাল ৬৪০ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের কার্যদিবসে লেনদেন ছিল ৪৭১ কোটি টাকা। গতকাল এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ৩৮০টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১৯৬টির, কমেছে ১৩১টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৫৩টি সিকিউরিটিজের বাজারদর।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২২ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বস্ত্র খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ দশমিক শতাংশ দখলে নিয়েছে বিবিধ খাত। ১০ দশমিক শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ রসায়ন খাত। মোট লেনদেনের ১০ দশমিক শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। আর জ্বালানি বিদ্যুৎ খাতের দখলে ছিল লেনদেনের দশমিক শতাংশ। গতকাল সিরামিক খাতে সবচেয়ে বেশি দশমিক শতাংশ ধনাত্মক রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে দশমিক শতাংশ ঋণাত্মক রিটার্নের ভিত্তিতে শীর্ষে ছিল কাগজ মুদ্রণ খাত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন