ব্যয় বৃদ্ধির চাপে সিঙ্গার বাংলাদেশ

বিক্রি বাড়লেও মুনাফা অর্ধেকে নেমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি সুদের হার বাড়ার কারণে ব্যবসার ব্যয় বেড়েছে। পাশাপাশি কভিড-১৯ সাম্প্রতিক বন্যার প্রভাব তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে বিভিন্ন ধরনের ব্যয় বৃদ্ধির চাপের মধ্যে রয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক ইলেকট্রনিকস হোম অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদক সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেড। এতে চলতি ২০২২ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বিক্রি বাড়লেও নিট মুনাফা অর্ধেকে নেমেছে কোম্পানিটির।

গতকাল অনুষ্ঠিত সভায় চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করেছে সিঙ্গার বাংলাদেশের পর্ষদ। প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির বিক্রি হয়েছে ৯২৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি ছিল ৮৬৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে প্রায় শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির উৎপাদন ব্যয় ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ বেড়ে ৭২৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। এতে প্রথমার্ধে কোম্পানিটির মোট মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৬৬ শতাংশ কমে ২০২ কোটি ৮২ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। সময়ে কোম্পানিটির পরিচালন খাতে ব্যয় হয়েছে ১৪৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে খাতে ব্যয় ছিল ১৩৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে পরিচালন খাতে কোম্পানিটির ব্যয় বেড়েছে দশমিক ৫৯ শতাংশ। চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির পরিচালন মুনাফা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ শতাংশ কমে ৬৪ কোটি ৬০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে।

চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে সিঙ্গার বাংলাদেশের আর্থিক ব্যয় দাঁড়িয়েছে ২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে খাতে ব্যয় ছিল ১৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আর্থিক ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৬৩ শতাংশ। সব খাতে ব্যয় বাড়লেও কর বাবদ আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ব্যয় কমেছে ৩১ দশমিক ৪৭ শতাংশ। চলতি হিসাব বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ২৩ কোটি টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ৪৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ৫০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ৩১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল টাকা ৬৯ পয়সায়। বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ৩০ টাকা ৩৮ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।

এদিকে চলতি হিসাব বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির বিক্রি হয়েছে ৫৩৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি ছিল ৪৮৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির বিক্রি বেড়েছে দশমিক ৪১ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে নিট মুনাফা ছিল ২৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকায়। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ৫১ দশমিক ৫০ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে টাকা ৪০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল টাকা ৮৯ পয়সা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন