বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের নেপথ্যের কারণ কী?

ড. এম কবির হাসান, মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম

বর্তমান অর্থনীতিতে অর্থ পাচার একটি বহুল আলোচিত বিষয়। এটি প্রতিরোধ করতে রয়েছে নানা আইন-কানুন। রয়েছে বিভিন্ন শাস্তির ব্যবস্থা। প্রায় প্রতিটি দেশেই অর্থ পাচার নিষিদ্ধ।

প্রথমেই আসি অর্থ পাচার বলতে কী বোঝায়? অপরাধ থেকে উপার্জিত অর্থ ভিন্ন দেশে সহজে ব্যবহারের জন্য অবৈধ কোনো পন্থায় পাচার করে দেয়াই অর্থ পাচার নামে অভিহিত। একে মানি লন্ডারিংও বলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) অর্থ পাচারের পরিচয় দিয়েছে এভাবেঅর্থ পাচার হলো অপরাধ থেকে অর্জিত আয়কে বৈধ আচ্ছাদন দেয়ার প্রক্রিয়া। অপরাধ থেকে অর্জিত অর্থ পাচারের আগে তা ব্যবহার করা অপরাধীর জন্য সমস্যাজনক। কারণ সে তখন ব্যাখ্যা করতে পারে না, অর্থ কোত্থেকে এসেছে, কীভাবে উপার্জন হয়েছে। কিন্তু অর্থ পাচারের পর সেটি বৈধ তহবিল থেকে পৃথক করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে সেটি কোনো ধরনের শনাক্তকরণ ছাড়াই অপরাধী তা ব্যবহার করতে পারে।

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (এটি ২০১২ সালের ৫নং আইন নামে পরিচিত) আইনের ধারা -এর - অর্থ পাচার-এর পরিচয় আওতা বলা হয়েছে এভাবে বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোনো কিছু না থাকিলে, আইনে () অর্থ বা সম্পত্তি পাচার অর্থ। () দেশে বিদ্যমান আইনের ব্যত্যয় ঘটাইয়া দেশের বাহিরে অর্থ বা সম্পত্তি প্রেরণ বা রক্ষণ; বা () দেশের বাহিরে যে অর্থ বা সম্পত্তিতে বাংলাদেশের স্বার্থ রহিয়াছে যাহা বাংলাদেশে আনয়নযোগ্য ছিল তাহা বাংলাদেশে আনয়ন হইতে বিরত থাকা; বা () বিদেশ হইতে প্রকৃত পাওনা দেশে আনয়ন না করা বা বিদেশে প্রকৃত দেনার অতিরিক্ত পরিশোধ করা।

অর্থ পাচার হয়ে থাকে তিন ধাপে। অর্থনীতির বক্তব্য অনুযায়ী, অর্থ পাচার হয়ে থাকে মোট তিনটি ধাপে। যথা ().Placement । প্রথমে অবৈধ অর্থ ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেমে স্থানান্তরের কাজ সম্পন্ন হয়। যেমন, ব্যাংকে ডিপোজিট করে দেয়া। ().Layering । দ্বিতীয় স্তরে অর্থের অবৈধ উৎস থেকে তহবিল আলাদা করার প্রক্রিয়া। কখনো সেটি বেনামি কোম্পানির নামে দেখানো হয়। ().Integration । তৃতীয় স্তরে সেই অর্থ ব্যবহার বা ভোগ করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটি (জিএফআই) উক্ত বিষয়টিকে একটি ছকে ব্যক্ত করেছে এভাবে

ব্যাখ্যা: ১। অর্থ পাচারের অন্তর্নিহিত উৎস ক্রাইম বা অপরাধ। উদাহরণস্বরূপ অবৈধ পথে যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র পাচার করে মিলিয়ন ডলার উপার্জন করেছে। ২। সেই ক্যাশ চোরাচালানের মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট করে দিয়েছে। ৩। সেই অর্থকে বেনামি কোনো কোম্পানির অর্থ হিসাবে দেখানো হয়েছে। ৪। বেনামি সেই কোম্পানি তার নামে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে অপরাধীর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বাড়ি বা জমি ক্রয়ে বিনিয়োগ করছে। তাহলে দেখা গেল, অর্থ পাচারের সঙ্গে প্রথমে অপরাধ জড়িত থাকে। এরপর সেই অর্থ হুন্ডি বা চোরাচালানের মাধ্যমে গন্তব্য দেশের কোনো ব্যাংকে বেনামি কোনো কোম্পানির নামে ডিপোজিট করা হয়। স্তরে অবৈধ অর্থকে বৈধ অবয়ব দেয়া হয়েছে। এরপর সেই অর্থ ব্যবহারে আর কোনো বাধা থাকে না।

মানি লন্ডারিং অর্থ পাচার

সাধারণত অর্থ পাচারকে সরাসরি মানি লন্ডারিং বলা হয়। তবে বাস্তবে মানি লন্ডারিং একটি বিস্তৃত বিষয়। নানাভাবে আইনে এর প্রয়োগ রয়েছে। ব্যাখ্যা রয়েছে। এর একটি প্রয়োগ মূলত আলোচিত অর্থ পাচার। যেমন যেকোনো অপরাধ থেকে অর্জিত অর্থ-সম্পদ গোপন করা, সরকারি হিসাবে তা প্রকাশ না করাই মানি লন্ডারিং আইনের মধ্যে চলে আসে। কিন্তু তা পাচার নাও হতে পারে। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ অনুসারে ২৭ ধরনের অপরাধের কথা বলা হয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে যেকোনো অর্থ অর্জন ব্যবহার করলেই তা মানি লন্ডারিং হিসেবে গণ্য হবে। এসব অপরাধের কিছু হলো অর্থ পাচারসংশ্লিষ্ট। যেখানে অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ অথবা বৈধ পথে উপার্জিত। তবে অবৈধ পথে পাচার করা হয়ে থাকে, কথাটি এভাবেও বলতে পারি, মানি লন্ডারিংয়ে এর জন্য পাচার হওয়া জরুরি নয়। অর্থ পাচার মানেই যেখানে পাচার হবে। তবে সাধারণত মানি লন্ডারিংয়ের বৃহৎ প্রয়োগ অর্থ পাচারের মাধ্যমেই হয়ে থাকে। তাই সরাসরি অর্থ পাচারকেই মানি লন্ডারিং বলা হয়।

অর্থ পাচারের প্রয়োগ আওতা

সাধারণত অর্থ পাচার বা মানি লন্ডারিং বলতেই বোঝানো হয়, এমন অর্থ যা দেশীয় আইনে নিষিদ্ধ কোনো পন্থায় বা অপরাধ করে উপার্জন করা হয়েছে। যে অর্থের উৎস ব্যক্তি প্রকাশ করতে পারে না। যেমন মাদকদ্রব্য সরবরাহ করে অর্থ উপার্জন করেছে। জিএফআই- অর্থ পাচারের প্রয়োগই নির্দেশ করা হয়েছে।

ইসলামী অর্থনীতির দৃষ্টিতে এর সঙ্গে শরীয়াহ দৃষ্টিতে হারামএমন যেকোনো পন্থায় উপার্জিত অর্থও অন্তর্ভুক্ত হবে। যদিও তা দেশীয় আইনে অপরাধ নয়। যেমন সুদ গ্রহণ করে অর্থ উপার্জন। বস্তুত ইসলামে রাষ্ট্রীয় অর্থনীতির আলোকে পরিচালিত রাষ্ট্র যদি অর্থ পাচারবিষয়ক আইন তৈরি করে, তাহলে এভাবে তৈরি করবে। অর্থ পাচারের আরেকটি প্রয়োগ হলো অর্থ উপার্জনের উৎস বৈধ। তবে দেশীয় আইনে অনুমোদিত নয়এমন পন্থায় সে অর্থ বিদেশে পাঠানো হয়েছে। যেমন হুন্ডি করে টাকা পাঠানো। এটিও আমাদের দেশের আইনে মানি লন্ডারিংয়ের অন্তর্ভুক্ত। (ধারা: এর ) তাহলে অপরাধ হোক অথবা অবৈধ পন্থাদুটিই আমাদের দেশের বিবেচনায় অর্থ পাচার মানি লন্ডারিং আইনের দৃষ্টিতে দোষণীয় হবে।

অর্থ পাচার কীভাবে হয়ে থাকে?

আমাদের দেশ থেকে নানাভাবে অর্থ পাচার হয়ে থাকে। তবে এর ধরন পদ্ধতি নিয়ে সরকারি কোনো গবেষণা বা প্রতিবেদন নেই। গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের নানা বক্তব্য, সাক্ষাৎকার থেকে যেসব পদ্ধতি সামনে আসে সংক্ষেপে তা হলো

১। বাণিজ্য কারসাজি: এটি অর্থ পাচারের বড় একটি মাধ্যম। আমদানি রফতানি বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়। এটি নানাভাবে হয়ে থাকে।

যথা  . ওভার ইনভয়েসিং: ধরুন ১০০ ডলার মূল্যের একটি পণ্য আমদানি করেছে কেউ। মূল্য ১০০ ডলারের জায়গায় ২০০ ডলার লিখে দিল। অতিরিক্ত ১০০ ডলার রফতানিকারকের দেশে চলে যাবে। সেই রফতানিকারক হতে পারে তার আত্মীয়, বন্ধু। এমনটি নিজের কোম্পানিও হতে পারে। একে বলে ওভার ইনভয়েসিং এমনও হয়, ১০০ ডলারের এলসি ছিল। কিন্তু এলসি ওপেন করা হয়েছে ২০ ডলারে। বাকি ৮০ ডলার চলে যাবে হুন্ডির মাধ্যমে।

. আন্ডার ইনভয়েসিং: রফতানিকারক ১০০ ডলারের জায়গায় ৫০ ডলার লিখে দিল। বাকি ৫০ ডলার থেকে যাবে আমদানিকারকের দেশে। এখানেও সেই আমদানিকারক হতে পারে তার আত্মীয়, বন্ধু। এমনকি নিজের কোম্পানিও হতে পারে। একে বলে আন্ডার ইনভয়েসিং

. পণ্য রদবদল: কখনো এমন হয় যে পণ্যের বিপরীতে এলসি ওপেন করা হয়েছে, বাস্তবে সেই পণ্য আসেনি। যেমন ঘোষণা দেয়া হয়েছে কনটেইনারে মূলধনি যন্ত্রপাতি আছে। কিন্তু তল্লাশি করে দেখা গেল মূলধনি যন্ত্রপাতির পরিবর্তে আছে কেবল বালি ইট। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক থেকে কনটেইনারের মূল্য বাবদ প্রায় কোটি টাকা দেশের বাইরে চলে গেছে। অথচ যে পণ্য আসার কথা সেটি আসেনি। এখানে ইচ্ছা করে মোটা অংকের টাকা বিদেশে পাচার করে দেয়া হয়েছে। শুধু ফাঁকি দেয়ার জন্য ইট-বালি আনা হয়েছে।

. ব্যাংকের সঙ্গে মিলে কারসাজি করা: কখনো দেখা যায়, ব্যাংকের কর্মকর্তার সঙ্গে কারসাজি করে, মোটা অংকের রফতানি বিল দেখিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। বাস্তবে এর বিপরীতে কোনো পণ্যই রফতানি হয়নি।

. রফতানি আয় দেশে ফেরত না এনে ওই অর্থ দিয়ে বিদেশে ঘরবাড়ি-ব্যবসাপাতি বাবদ ব্যয় করা।

. সাম্প্রতিক সময়ে চালু করা রফতানি উন্নয়ন ফান্ডের অর্থ বিভিন্ন কারসাজির মাধ্যমে বিদেশে পাচার করা। মোটকথা, এভাবে নানা উপায়ে বাণিজ্য কারসাজির মাধ্যমে অর্থ পাচার হয়ে থাকে। এসব কারসাজির সঙ্গে ব্যাংক, কাস্টমস নানা পক্ষ সম্পৃক্ত থাকে।

২। হুন্ডি: দেশীয় আইন দ্বারা স্বীকৃত নয় এমন অপ্রাতিষ্ঠানিক পন্থায় এক দেশ থেকে অন্য দেশে অর্থ প্রেরণ পদ্ধতি মূলত হুন্ডি নামে পরিচিত। এটি নানাভাবে হতে পারে।

যথা. দেশ থেকে অর্থ প্রেরণ। এর পদ্ধতি হলো দেশে কাউকে টাকা দেবেন, সে বিদেশে আপনাকে বা আপনার মনোনীত কাউকে ডলার পরিশোধ করবে। ধরুন কেউ বিদেশ যাবে। তার কাছে টাকা দিয়ে দিলেন। এর বিপরীতে বিদেশে আপনার ছেলেকে সে সমপরিমাণ ডলার পরিশোধ করে দেবে।

. বিদেশ থেকে দেশে অর্থ প্রেরণ। এর পদ্ধতি হলো বিদেশ ফেরত কাউকে আপনি ডলার দিয়ে দিলেন। সে দেশে এসে আপনার মনোনীত ব্যক্তিকে সমপরিমাণ টাকা পরিশোধ করবে।

. রেমিট্যান্স গ্রহণ। এর পদ্ধতি হলো বৈদেশিক মুদ্রায় প্রবাসীদের রেমিট্যান্স সংগ্রহ করে তা বিদেশেই রেখে দেয়। আর দেশে কোনো এজেন্টের মাধ্যমে টাকায় এর দায় শোধ করা হয়। টাকা হতে পারে বৈধ পথে উপার্জিত, হতে পারে অবৈধ পথে। বর্তমানে একটি গ্রুপ এভাবে রেমিট্যান্স গ্রহণ করে বিদেশে অর্থ পাচারকাজে লিপ্ত।

এভাবে নানা উপায়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক পন্থায় এক দেশ থেকে অন্য দেশে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি অর্থের লেনদেন হয়ে থাকে। এসব পদ্ধতি হুন্ডি নামে পরিচিত। বর্তমান সময়ে (করোনা-পরবর্তী) রেমিট্যান্সের বৃহৎ অংশ হুন্ডির মাধ্যমে আদান-প্রদান হচ্ছে। আমাদের রেমিট্যান্স হ্রাস হওয়ার পেছনে বর্তমানে এটি একটি বড় কারণ বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞগরা।

৩। চোরাচালান: অর্থ পাচারের এটিও একটি মাধ্যম। কর বা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা বা স্বর্ণ এক দেশ থেকে আরেক দেশে পাচার করা হয়। কখনো তা বিমানের যাত্রীদের মাধ্যমে হয়ে থাকে। কখনো বর্ডার ক্রসিংয়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে।

তিনটি পদ্ধতির মাঝে প্রথমটি বেশি হয়ে থাকে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা . এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর দেশ থেকে যে পরিমাণ অর্থ পাচার হয়, তার অধিকাংশই বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে (দৈনিক যুগান্তর, ১০ জুন, ২০২১) প্রকাশ থাকে, অর্থ পাচার মানে সুটকেস ভরে দেশীয় মুদ্রা বিদেশে নিয়ে যাওয়া নয়। বরং এখানে অর্থ দ্বারা বোঝানো হয় বৈদেশিক ক্রয়ক্ষমতা। বিদেশী মুদ্রায় যা অবৈধ পথে ভিন্ন দেশে সংগ্রহ করে রাখা হয়।

অর্থ পাচার কেন ক্ষতিকর?

প্রচলিত অর্থনীতিতে অর্থ পাচারের যেসব ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরা হয়, সংক্ষেপে তা হলো . বৈদেশিক মুদ্রা দেশের অর্থনীতির ব্লাডস্বরূপ। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পাওনা শোধ করা হয়। দেশের অর্থনীতির মুদ্রার মান নির্ণিত হয়। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রিত থাকে। অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশ সরকার বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলার রিজার্ভ হ্রাস হয়। এতে দেশ সুদূরপ্রসারী অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হয়। . দেশীয় টাকা অর্থ পাচারের মাধ্যমে বিদেশে চলে যায়। টাকা দেশে থাকলে তা বিনিয়োগ ভোগে ব্যবহূত হতো, কর্মসংস্থান এবং উন্নয়নে ভূমিকা রাখত। সুতরাং এতে দেশ জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে। . অর্থ পাচারের পেছনে উপার্জনের মাধ্যম হয়ে থাকে সাধারণত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। সেটি হতে পারে অবৈধ পণ্য দিয়ে, হতে পারে সন্ত্রাসী বা অবৈধ কোনো উদ্দেশ্যে অর্থ পাচার করা। সুতরাং এসবও দেশ জাতির জন্য কল্যাণকর নয়। . অর্থ পাচারের মাধ্যমে সরকার কখনো শুল্ক/কর থেকে বঞ্চিত হয়। তাছাড়া এতে পণ্যটি দেশের জন্য কতটুকু উপকারী তাও যাচাই করার সুযোগ থাকে না। মোটকথা, এভাবে নানা দিক থেকে মানি লন্ডারিং অর্থ পাচার দেশ, জাতি অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই একে বর্তমানে একটি স্বতন্ত্র অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। মনে রাখতে হবে, এসব ক্ষতির পরিমান এক রকম নয়। অবৈধ উপার্জন করে অর্থ পাচার করা বৈধ সম্পদ (বৈধ উদ্দেশ্যে) অনানুষ্ঠানিক পন্থায় পাচার করাদুটি সমান নয়। হ্যাঁ, দুটিতেই দেশ বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হয়, তবে অপরাধের মাত্রায় পার্থক্য আছে। (চলবে)

. এম কবির হাসান: অধ্যাপক, নিউ অরলিন্স বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র

মুফতি আব্দুল্লাহ মাসুম: সিএসএএ, অ্যাওফি, বাহরাইন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন