ঈদুল আজহা মানেই পশু কোরবানি দেয়া। আর তার অর্থই
পরবর্তী কয়েকদিন টেবিলজুড়ে ভারী ভারী সব খাবার। কিন্তু বেলায় বেলায় এত সব ভারী
খাবার খাওয়ার ফলে পড়ে যেতেই পারেন কিছুটা শারিরীক অস্বস্তিতে। সেজন্য জেনে নিন কী
কী করলে স্বাদ পূরণের পাশাপাশি সুস্থ থাকাও সম্ভব হবে।
কোরবানী ঈদ মানেই বাড়িতে অনেক অনেক মাংস। আর টেবিলে মাংসের নানান পদ। তবে এসময়ে মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সচেতন থাকুন। মুখের স্বাদে বেশি বেশি খেয়ে ফেললে ভুগতে হবে শরীরকেই। চিকিৎসকরাও এখন লাল মাংস বেশি না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
চেষ্টা করুন ঈদের দিনও খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত শাকসবজি
রাখতে। তাহলে পর্যাপ্ত
ফাইবার পেয়ে যাবে শরীর। সেই সঙ্গে রাখুন
সালাদও। তাহলে শরীর খারাপের
ঝুঁকি কমবে।
ঈদের দিন যতটা সম্ভব মিষ্টিজাতীয় খাবার পরিহার করুন। আপনার ডায়াবেটিস থাকলে মিষ্টি খাবার
একেবারেই খাবেন না। এতে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তা না হলেও যতটা
সম্ভব নিয়ন্ত্রণ করুন মিষ্টি খাবারের প্রতি আকর্ষণ।
সফট ড্রিংকসের বদলে ঈদের দিনও প্রোবায়োটিক গ্রহণ করুন।
ঈদের দিনও প্রোবায়োটিক দই, পনির ও পলিফেনলসমৃদ্ধ খাবার যেমন- বেরি,
পেঁয়াজ ও অতিরিক্ত ভার্জিন তেল খেলে অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া
বাড়ে। তাতে শরীর খারাপ হয়ে পড়ার প্রবণতা কমবে।কোল্ড ড্রিংকস কিডনীর কার্যকারিতা নষ্ট করে তাই যতটা সম্ভব তা এড়িয়ে
চলাই ভালো।
অন্যান্য সময়ের মতোই ঈদ উৎসবেও পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি
গ্রহণ করতে ভুলবেন না। যেহেতু
আবহাওয়া অনেক গরম তাই ডিহাইড্রেশন হওয়ার ঝুঁকি বেশি। দিনে কমপক্ষে ৩-৪ লিটার পানি পান করুন। পর্যাপ্ত পানি
পান করলে ঘুমও ভালো হয় আবার মেজাজও ভালো থাকে।
অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি তাজা ফলের রস পান করুন ঈদের
দিন। তাজা ফলের রস ক্ষুধা ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। এমনকি
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও কমায়। বাড়িতে আসা অতিথিদের অ্যাপ্যায়নেও রাখতে পারেন ফলের রস।তাতে যেমন খাবারে কিছুটা ভিন্নতা আসবে তেমন সবার শরীরেও
ভালো প্রভাব পড়বে।