কাস্টমস নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতারা পেলেন ৩৪টি বিলাসবহুল গাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো

পর্যটক সুবিধায় আনা বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের ৩৪টি গাড়ি নিলামে বিক্রি করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। গতকাল সর্বোচ্চ দরদাতাদের কাছে কোটি ২৮ লাখ টাকায় এসব গাড়ি বিক্রির তথ্য নিশ্চিত করেছে কাস্টমসের নিলাম শাখার কর্মকর্তারা। তবে অগ্রিম আয়কর মূল্য সংযোজন কর যুক্ত করলে ৩৪টি গাড়ির মোট মূল্য দাঁড়ায় ১০ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

বিক্রি হওয়া গাড়ির মধ্যে রয়েছে মার্সিডিজ, বিএমডব্লিউ, জাগুয়ার, টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার, রেঞ্জ রোভার, মিত্সুবিশি, ফোর্ড, লেক্সাস ব্র্যান্ড।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের ডেপুটি কমিশনার আলী রেজা হায়দার বণিক বার্তাকে বলেন, কার্নেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা অখালাসকৃত ১০৮টি গাড়ির নিলাম প্রক্রিয়ায় ৩৪টি বিলাসবহুল গাড়ি বিক্রির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। গত ২৭ জুন অনুষ্ঠিত নিলাম কমিটির সভায় দাখিল করা দরপত্রগুলোর কমপারেটিভ লিস্ট হায়েস্ট লিস্ট, আগের টেন্ডার সেলে সর্বোচ্চ উদ্বৃত্ত দর পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গাড়িগুলো নিলামে বিক্রির লক্ষ্যে কাস্টম হাউস নিজস্ব উদ্যোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ক্লিয়ারেন্স পারমিট (সিপি) সংগ্রহ করায় ক্রেতাকে নতুন করে সিপি সংগ্রহ করতে হবে না।

পর্যটন সুবিধায় এক দশক আগে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এসব গাড়ি এনেছিলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ পর্যটকরা। সাধারণত পর্যটন সুবিধায় গাড়ি আনলে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যায়, তবে তা আবার ফেরত নেয়ার শর্তও থাকে। অতীতে সুবিধায় আনা অনেক গাড়ি ফেরত নেয়া হয়নি। সেজন্য শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার রোধে ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়ে খালাসের শর্ত আরোপ করে কাস্টমস। তখন খালাস না নিয়ে উল্টো সটকে পড়েন পর্যটকরা। এরপর দফায় দফায় নিলামে তোলা হলেও বেশির ভাগ গাড়ি খালাসের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র না থাকায় সে সময় বিক্রি করা যায়নি। তবে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ আর এনবিআরের তদারকিতে ছাড়পত্র পাওয়ায় এখন প্রতি নিলামেই উল্লেখযোগ্যসংখ্যক গাড়ি বিক্রি সম্ভব হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন