চার লাখ টন চাল আমদানি করবে ৯৫ প্রতিষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রথম দফায় বেসরকারিভাবে চার লাখ নয় হাজার টন সিদ্ধ আতপ চাল আমদানির অনুমতি পাচ্ছে ৯৫ প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে আমদানির অনুমতি দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এর মধ্যে নন বাসমতি সিদ্ধ চাল লাখ ৭৯ হাজার টন এবং আতপ চাল ৩০ হাজার টন। চালে সর্বোচ্চ শতাংশ ভাঙা দানা থাকতে পারবে। চাল আমদানির শর্তে বলা হয়েছে, ২১ জুলাইয়ের মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট-ঋণপত্র) খুলতে হবে এবং -সংক্রান্ত তথ্য (বিল অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে -মেইলে তাত্ক্ষণিকভাবে জানাতে হবে।

বরাদ্দ পাওয়া আমদানিকারকদের আগামী ১১ আগস্টের মধ্যে পুরো চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে। আমদানি করা চালের পরিমাণ গুদামজাত বাজারজাতের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানাতে হবে।

বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যু/জারি করা যাবে না। আমদানি করা চাল স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানের নামে ফের প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা বস্তায় চাল বিক্রি করতে হবে বলেও শর্তে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া প্লাস্টিকের বস্তায় আমদানি করা চাল বিক্রি করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যাংকে এলসি খুলতে ব্যর্থ হলে বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে বলেও শর্ত দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

অনেক দিন ধরেই অস্থিতিশীল চালের বাজার। ভরা বোরো মৌসুমেও চালের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। গরিবের মোটা চাল কেজিপ্রতি দাম ৫০ টাকা ছাড়িয়েছে। চিকন চালের কেজি ৬৫ থেকে ৮০ টাকা।

প্রেক্ষাপটে দাম স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক কমিয়ে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। গত ২৩ জুন চালের আমদানি শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য করা হয়েছে। এর পাশাপাশি নিয়ন্ত্রকমূলক শুল্ক ২৫ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর ফলে চাল আমদানিতে মোট করভার ৬২ শতাংশ থেকে কমে ২৫ শতাংশে নামানো হয়।

নতুন শুল্ক ছাড়ের মেয়াদ আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে। শুল্ক ছাড়ের অনুমোদন পেতে আমদানিকারককে অবশ্যই খাদ্য মন্ত্রণালয় অনুমতি নেয়ার শর্তজুড়ে দিয়েছে এনবিআর। কমানো শুল্কহারে চাল আমদানির জন্য আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলো ১৭ জুলাই পর্যন্ত খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে পারবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন