সাপ্তাহিক পুঁজিবাজার

ব্যাংকের শেয়ারে ভালো রিটার্ন পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের চারদিনই ঊর্ধ্বমুখিতা পরিলক্ষিত হয়েছে। সময়ে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেন সূচক দুটোই বেড়েছে। পাশাপাশি সপ্তাহজুড়ে প্রধান খাতগুলো থেকে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে ব্যাংক খাতের বিনিয়োগকারীরা গত সপ্তাহে ভালো রিটার্ন পেয়েছেন। দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে হাজার ৮৫৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেন ছিল হাজার ৮২২ কোটি টাকার। সেই হিসাবে সাপ্তাহিক লেনদেন বেড়েছে ৩৫ কোটি টাকা বা দশমিক ৯২ শতাংশ। গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে দৈনিক গড়ে ৭৭১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৭৬৪ কোটি টাকার।

গত সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪৯ দশমিক ২৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৭৮ শতাংশ বেড়েছে। সূচকটির বর্তমান অবস্থান প্রায় হাজার ৩৭৭ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল প্রায় হাজার ৩২৮ পয়েন্টে। সূচকের উত্থানে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল ব্র্যাক ব্যাংক, রেনাটা, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, প্রাইম ব্যাংক, রবি আজিয়াটা, ব্যাংক এশিয়া পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ারের।

ডিএসইর অন্য সূচকের মধ্যে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে দশমিক শূন্য পয়েন্ট বা দশমিক ১৩ শতাংশ কমে প্রায় হাজার ২৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল প্রায় হাজার ২৯৯ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা দশমিক ২৮ শতাংশ বেড়ে প্রায় হাজার ৩৮৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল প্রায় হাজার ৩৮৩ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটির খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল বস্ত্র খাত। ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক শতাংশ ছিল খাতটির দখলে। ১১ দশমিক শতাংশ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিবিধ খাত। খাতের দখলে গত সপ্তাহের মোট লেনদেনের ১০ দশমিক শতাংশ ছিল। পরের অবস্থানে থাকা ওষুধ রসায়ন খাতের দখলেও ছিল মোট লেনদেনের ১০ দশমিক শতাংশ। পঞ্চম অবস্থানে থাকা খাদ্য আনুষঙ্গিক খাতের দখলে ছিল মোট লেনদেনের দশমিক শতাংশ।

এদিকে ডিএসইতে গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে কাগজ মুদ্রণ খাতে, দশমিক শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে ব্যাংক খাতের শেয়ারে। খাত থেকে গত সপ্তাহে দশমিক শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে। পরের অবস্থানে থাকা পাট খাত থেকে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে দশমিক শতাংশ। চতুর্থ অবস্থানে থাকা বস্ত্র খাত থেকে এসেছে দশমিক শতাংশ। শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন নিয়ে তালিকার পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। এছাড়া মিউচুয়াল ফান্ড খাত থেকে দশমিক , আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাত থেকে শতাংশ, বিদ্যুৎ জ্বালানি খাত থেকে দশমিক এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে দশমিক শতাংশ ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে গত সপ্তাহে। অন্যদিকে নেতিবাচক রিটার্নে গত সপ্তাহে শীর্ষ ছিল বিবিধ খাত। খাত থেকে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে দশমিক শতাংশ। দশমিক শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে টেলিযোগাযোগ খাত। এছাড়া চামড়া খাত থেকে দশমিক শতাংশ সেবা খাত থেকে দশমিক শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে গত সপ্তাহে।

গত সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে লাখ ১৭ হাজার ৭৮১ কোটি টাকায়। যেখানে সপ্তাহের শুরুতে বাজার মূলধন ছিল লাখ ১৪ হাজার ৩১৬ কোটি টাকায়। সে হিসাবে আলোচ্য সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে হাজার ৪৬৫ কোটি টাকা বা দশমিক ৬৭ শতাংশ। ডিএসইতে গত সপ্তাহে মোট ৩৯৫টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৬৫টির। কমেছে ৯৪টির। আর অপরিবর্তিত ছিল ৩১টির। লেনদেন হয়নি ৫টির।

অন্যদিকে সিএসইতে গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়ে প্রায় ১৮ হাজার ৭২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে যা ছিল ১৮ হাজার ৬১৯ পয়েন্টে। সিএসসিএক্স সূচকটি গত সপ্তাহ শেষে দশমিক ৫৮ শতাংশ বেড়ে প্রায় ১১ হাজার ২২৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আগের সপ্তাহ শেষে সূচকটির অবস্থান ছিল ১১ হাজার ১৬২ পয়েন্টে। সিএসইতে গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ১৯৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে যেখানে লেনদেন ছিল ১৯৯ কোটি টাকার। আলোচ্য সময়ে সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৭টি কোম্পানি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২০৪টির, কমেছে ১২২টির অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন