১৪টি এয়ারবাস উড়োজাহাজের ক্রয়াদেশ দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস গ্রুপ (আইএজি)। এর মধ্যে ১১টি এয়ারবাস এ৩২০নিও এবং তিনটি এ৩২১নিওএস। ১৭০ কোটি ডলারে এ ক্রয়াদেশ দিয়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের মালিকানা প্রতিষ্ঠানটি। খবর নিক্কেই এশিয়া।
এয়ারলাইনস কনগ্লোমারেটটির মালিকানায় এয়ার লিঙ্গাস ও আইবেরিয়াও রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, একটি উল্লেখযোগ্য ছাড় নিয়ে আলোচনার পর জ্বালানি সাশ্রয়ী একক আইল জেট কেনার বিকল্পগুলো রূপান্তরিত করেছে।
চুক্তি অনুযায়ী, ক্রয়াদেশ দেয়া উড়োজাহাজগুলো ২০২৪ ও ২০২৫ সালে সরবরাহ করা হবে। এগুলোর মাধ্যমে সংস্থাটি স্বল্প দূরত্বের বহরে পুরনো এ৩২০সিও উড়োজাহাজ প্রতিস্থাপন করবে। একটি বিবৃতিতে আইএজি জানিয়েছে, আধুনিক ও আরো জ্বালানি সাশ্রয়ী উড়োজাহাজগুলো প্রতিষ্ঠানের ব্যয় কমিয়ে এবং পরিবেশগত সুবিধা তৈরি করবে।
ইঞ্জিন নির্বাচন এবং অর্থায়নের বিষয়গুলো সরবরাহ সময়ের কাছাকাছি ঘোষণা করার কথা জানিয়েছে আইএজি। গত মাসে সংস্থাটি ইউরোপীয় উড়োজাহাজ নির্মাতার মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বী বোয়িং থেকে ৬২৫ কোটি ডলার মূল্যের ৫০টি জ্বালানি সাশ্রয়ী ৭৩৭ ম্যাক্স জেটের ক্রয়াদেশ দিয়েছিল। নতুন ক্রয়াদেশটি ফরাসি উড়োজাহাজ নির্মাতা এয়ারবাসের জন্য উৎসাহজনক। বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তিটি ২০১৮ ও ২০১৯ সালে মারাত্মক দুটি দুর্ঘটনার পরে বিপর্যয়কর সংকটে পড়া ম্যাক্স জেটের প্রতি আস্থার ভোট ছিল। কভিড-১৯ মহামারীর বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতেও এ ক্রয়াদেশ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সহায়তা করেছে।
ব্রিটিশ নিম্ন ব্যয়ের উড়োজাজাহাজ পরিবহন সংস্থা ইজিজেট চলতি মাসে ৬৫০ কোটি ডলার মূল্যের ৫৬টি এ৩২০নিও জেট কেনার বিকল্প ব্যবহার করেছে। ২০২৬ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে উড়োজাহাজগুলো সরবরাহ করা হবে।
কভিডজনিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ায় মে মাসে আইএজি বার্ষিক মুনাফায় ফেরার পূর্বাভাস দিয়েছে। কভিডজনিত কারণে ভ্রমণ বন্ধ থাকায় ২০২০ ও ২০২১ সালে লোকসানে পড়েছিল গ্রুপটি। তবে সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে ব্যাপক হারে উড়োজাহাজ ভ্রমণের চাহিদা বেড়েছে।
