বসুন্ধরা পেপার মিলস

পুনর্মূল্যায়নের পর জমির দাম বেড়েছে ৪৫৪ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩১ মার্চ, ২০২২ সময় পর্যন্ত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের আলোকে প্রায় ৩৮ দশমিক ২৮ একর জমি পুনর্মূল্যায়নের পর তা অনুমোদন করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বসুন্ধরা পেপার মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। পুনর্মূল্যায়নের পর উল্লিখিত পরিমাণ জমির মূল্য বেড়েছে ৪৫৪ কোটি টাকার বেশি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে গতকাল তথ্য জানিয়েছে কাগজ মুদ্রণ খাতের কোম্পানিটি।

তথ্যানুযায়ী, পুনর্মূল্যায়নের আগে উল্লেখিত জমির মূল্য ছিল ২১০ কোটি ৭৬ লাখ ৩৫ হাজার ৫৯৮ টাকা। পুনর্মূল্যায়নের পর জমির মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৬৫ কোটি ৯৪ হাজার ৫১৭ টাকা। অথাৎ পুনর্মূল্যায়ন-পরবর্তী জমির মূল্য বেড়েছে ৪৫৪ কোটি ২৪ লাখ ৫৮ হাজার ৯১৯ টাকা।

সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে (জুলাই-মার্চ) বসুন্ধরা পেপারের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে টাকা ৪৯ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল টাকা ১৫ পয়সা। আর তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৪ পয়সা। ৩০ মার্চ, ২০২২ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ১২ পয়সায়।

৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২১ হিসাব বছরের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। সমাপ্ত হিসাব বছরে বসুন্ধরা পেপারের ইপিএস হয়েছে টাকা ৩৭ পয়সা, আগের হিসাব বছরে যা ছিল টাকা ৬৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৮১ পয়সায়। আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৪৩ টাকা ৫৫ পয়সা।

২০২০ হিসাব বছরে উদ্যোক্তা-পরিচালক বাদে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারকে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল টাকা ৬৪ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল   টাকা ৬৮ পয়সা। আলোচ্য হিসাব বছরের ৩০ জুন শেষে এনএভিপিএস দাঁড়ায় ৪৩ টাকা ৫৫ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৪২ টাকা পয়সা। এর আগে ২০১৯ হিসাব বছরে ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। এর আগের হিসাব বছরে ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন