ডিএনসিসির ছয় হাটে ডিজিটাল লেনদেন

বণিক বার্তা অনলাইন

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীনে ছয়টি কোরবানির পশুর হাটে থাকবে ডিজিটাল লেনদেনের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। হাটগুলো হলো গাবতলী, বসিলা, আফতাবনগর, ভাটারা, কাওলা ও উত্তরা ১৭ নং সেক্টরের পশুর হাট।‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট হাট’ নামের একটি পাইলট প্রকল্পে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে । আজ  বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে ডিএনসিসি ও বাংলাদেশ ব্যাংক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম।  সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রতিটি হাটে একটি করে ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন করা হবে। যেখানে ক্রেতারা ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে পিওএস, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, কিউআর কোড-এর মাধ্যমে বা এটিএম মেশিন হতে নগদ অর্থ উত্তোলন করে বিক্রেতাকে পশুর মূল্য পরিশোধ করতে পারবেন। ছয়টি হাটে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে কার্ড স্কিম পরিচালনা করবে মাস্টারকার্ড, ভিসা ও আমেরিকান এক্সপ্রেস।

ডিজিটাল পেমেন্ট বুথ স্থাপন ও পরিচালনার জন্য লিড ব্যাংক হিসেবে ৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংক থাকবে। সেগুলো হলো— ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, সিটি ব্যাংক। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সেবা প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে বিকাশ ও ইসলামী ব্যাংক এমক্যাশ কাজ করবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক খুরশীদ আলম বলেন, খামারি ও সংশ্লিষ্ট ইজারাদারদের জন্য ১ জুলাই হতে ১২ জুলাই পর্যন্ত ডিজিটাল লেনদেনে কোনো প্রকার খরচ যেমন কার্ড ব্যবহারের এমডিআর ও আইআরএফ এবং এমএফএস ব্যবহারে ক্যাশ আউট চার্জ প্রযোজ্য হবে না।

তিনি জানান, পবিত্র ঈদুল আজহার পশুর হাট চলাকালীন হাটকেন্দ্রিক নগদ অর্থের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। এতে একদিকে ব্যাংকগুলোর ওপর চাপ পড়ে, অন্যদিকে সাধারণ জনগণ ও পশু বিক্রেতারাও জাল নোট, ছিনতাই ও বিভিন্ন প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের শিকার হন। এ পাইলট প্রকল্প একদিকে ক্রেতার নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি কমাবে। আবার জাল নোট সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।



এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন