বারবার প্রকল্প সংশোধন করা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে মনে করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ বা সিপিডি। ফলে কাঠামো নির্মাণের ব্যয় বাড়ছে। এ অবস্থায় প্রকল্প তদারকির জন্য বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) কার্যক্রম ঢেলে সাজানোর তাগিদ দিয়েছে সংস্থাটি। আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসন বিষয়ক 'ইমপ্লিমেন্টেশন অব পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রজেক্ট ইন বাংলাদেশ, এনশিউরিং গুড ভ্যালু ফর মানি' শীর্ষক সেমিনারের সিপিডির পক্ষ থেকে এমন পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আয়োজনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় বক্তারা বলেন, দুর্নীতি রোধে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে। আবার নামমাত্র বরাদ্দ দিয়ে এডিপিতে প্রকল্প টেনে নেয়ার প্রবণতাও বন্ধ হচ্ছে না। ফলাফলে দেখা গিয়েছে, একাধিক অবকাঠামো তৈরি করে সুফল পেতে দেরি হচ্ছে বাংলাদেশে।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে বলা হয়, মাত্র ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে প্রকল্প রাখা হচ্ছে উন্নয়ন বাজেটে। আগামী অর্থবছরে এমন উদ্যোগের সংখ্যা ৫৯টি। আবার পরিচালকরা একাধিক প্রকল্পের দায়িত্ব ও সুবিধা নিয়ে রাজধানীতে অবস্থান করছেন। এতে কাজের গতি বাড়ছে না।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, জাতিগঠনে অবকাঠামোগত উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এটাও সত্য অনেক প্রকল্প পরিচালক ঠিকঠাক প্রকল্প এলাকায় যান না। নাটাই যার হাতে তিনি ঢাকায় বসে আছেন। এটা কাটাতে হলে যে কাঠখড় পোড়াতে হবে সেটা আমাদের কাছে নেই! আমাদের অনেক অপ্রয়োজনীয় রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন আছে। অন্যায়, অপ্রাসঙ্গিক অনেক রুলস ব্রিটিশরা তার প্রয়োজনে করে গিয়েছে, পাকিস্তানের মিলিটারিরা তাদের প্রয়োজনে কিছু আইন করে গেছে। সেগুলো এখনো আছে। আমরা সেগুলা বয়ে বেড়াচ্ছি।