ছবি : বিবিসি পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের সদস্যপদ নিয়ে আপত্তি প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে তুরস্ক। এত দিন নর্ডিক দেশ দুটির ন্যাটোর সদস্য হতে বিরোধীতা করেছিল দেশটি। তিন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি যৌথ নিরাপত্তা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। খবর বিবিসি।
ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তো
বলেছেন, মাদ্রিদে ন্যাটোর এক সম্মেলনে বৈঠকের পর তিন দেশ
একের অপরের নিরাপত্তার হুমকির বিরুদ্ধে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবে। এ বিষয়ে যৌথ
স্বাক্ষরের পর অগ্রগতি এসেছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের জেরে পশ্চিমা
সামরিক জোট ন্যাটো সদস্য পদ পেতে আবেদন করেছে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। এতদিন এ আবেদনের বিরোধিতা করে আসছিল ন্যাটোর অন্যতম সদস্য রাষ্ট্র তুরস্ক। তাদের দাবি,
হেলসিঙ্কি
ও স্টকহোম কুর্দি গোষ্ঠীকে সহায়তা করছে এবং আঙ্কারার ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ
করেছে।
এমন অভিযোগ মাথায় নিয়ে তুরস্ককে বোঝাতে
মাঠে নামে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন। এরই মধ্যে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সম্মেলনে
যোগ দিতে মাদ্রিদে জড়ো হয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানসহ ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের
সরকারপ্রধান।
ন্যাটোয় যোগ দেয়ার সমর্থন প্রসঙ্গে এরদোগান বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠন ইস্যুতে কোনো খোলামেলা বা স্পষ্ট
মনোভাব নেই ওই দুই প্রতিবেশী দেশের, তাদের কীভাবে বিশ্বাস করবো আমি?
জবাবে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের
বিবৃতিতে বলেন, ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সন্ত্রাসবাদ দমন সংক্রান্ত
নথি ও নীতির প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে। এদিকে ফরাসি বার্তা সংস্থা
এএফপি জানিয়েছে, মাদ্রিদের আলোচনা থেকে এরদোগান যেমনটা চেয়েছিলেন
তাই পেয়েছেন।
ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ এক
টুইট বার্তায় বলেন, এখন আমরা একটি চুক্তিতে রয়েছি। ফলে ন্যাটোয়
অন্তর্ভুক্ত হতে ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের পথ আরো প্রশস্ত হলো। এর জন্য আমি
প্রেসিডেন্ট এরদোগান, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নিনেস্তো এবং
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রসঙ্গত, ন্যাটো জোটে কাউকে সদস্য করতে হলে জোটের
প্রত্যেক সদস্যের অনুমোদন পেতে হয়।
