সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা

প্রস্তাবিত বাজেটে ওয়াশ খাতে বরাদ্দ অপ্রতুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) ওয়াশ খাতের বরাদ্দ বাড়লেও তা সার্বিক এডিপি বৃদ্ধির তুলনায় কম। নিরাপদ স্যানিটেশন, পরিবেশ সক্ষমতা তৈরির বিষয়ে বাজেটে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা অপ্রতুল। ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ ধীরগতিতে বাস্তবায়িত হবে।

গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে আঞ্চলিক বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে কিছু ইতিবাচক প্রবণতা রয়েছে। হাওর পার্বত্য এলাকায় বরাদ্দ কিছুটা বেড়েছে। তবে চর উপকূলীয় এলাকায় বরাদ্দ বাড়েনি। ধারাটি উপকূলীয় অঞ্চল চরে বসবাসকারী মানুষের জন্যও যথাযথভাবে অব্যাহত রাখা উচিত, যেন কেউ পিছিয়ে না পড়ে।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় প্রকল্পগুলো নির্বাচনের ক্ষেত্রে সঠিকভাবে মনোযোগী হওয়া এবং গ্রাম প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের ওয়াশ খাতের বরাদ্দের ব্যবধান ঘোচানোর ওপর বক্তারা গুরুত্বারোপ করেন। দূরবর্তী অঞ্চলের প্রান্তিক কমিউনিটির মানুষের জন্য আসন্ন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় বর্তমান বাজেটে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তা কম বলেও অনুষ্ঠানে বক্তারা মতামত তুলে ধরেন।

ওয়াটারএইড, পিপিআরসি, ফানসা-বিডি, এফএসএম নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্ক (বাউইন), স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অল, এন্ড ওয়াটার পোভার্টি, এমএইচএম প্লাটফর্ম, ইউনিসেফ ওয়াশ অ্যালায়েন্স ইন্টারন্যাশনাল যৌথভাবে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

ওয়াটারএইডের সহযোগিতায় পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) একটি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সামগ্রিক এডিপি দশমিক শতাংশ বৃদ্ধির তুলনায় ওয়াশ এডিপি বরাদ্দ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটের এডিপি বাজেটে মোট ওয়াশ বাজেট হলো এডিপি বরাদ্দের ২৪৬০ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন টাকার মধ্যে মাত্র ১১৮ দশমিক বিলিয়ন।

পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ . হোসেন জিল্লুর রহমান, ওয়াটারএইডের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর হোসেন ইশরাত আদিব ওয়াশ নেটওয়ার্কের প্রতিনিধিরা সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন